শরীয়তপুরের জাজিরায় রমজান মোল্লা নামের এক অটোভ্যান চালকে চোখ উপড়ে ফেলে আগুনে পোড়ানো ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা মামলার প্রধান আসামি সুমন শিকদার (২৫) ওরফে মাদক সম্রাট সুমনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ২টা ৪৫ মিনিটে মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানার মুক্তারপুর বল্লালবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া সুমন শিকদার (২৫) জাজিরা উপজেলার পদ্মা দক্ষিণ থানা এলাকার আলিমুদ্দিন শিকদারের ছেলে।
মামলার এজাহার ও র্যাব সূত্রে জানা যায়, পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ৬ সেপ্টেম্বর সকালে আসামি সুমন শিকদার রমজান মোল্লাকে (৩৮) ফোন করে বাড়িতে ডেকে নেয়। পরে পরিকল্পিতভাবে সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে মহর আলী শিকদার কান্দি এলাকার একটি বাঁশবাগানে তাকে আটকে নির্মমভাবে নির্যাতন চালানো হয়। এ সময় রমজানের দুটি চোখ ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে উপড়ে ফেলা হয়, শরীর আগুনে পোড়ানো হয় এবং চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করা হয়। এ ঘটনায় রমজানের স্ত্রী ইসমোতারা বাদী হয়ে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে র্যাব-৮ এর অধিনায়ক দিকনির্দেশনায় সিপিসি-৩ মাদারীপুর একটি বিশেষ টিম মাঠে নামে। বিশ্বস্ত সোর্স এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-৮ (মাদারীপুর) ও র্যাব-১১ (নারায়ণগঞ্জ)-এর যৌথ দল অভিযান চালায়। অবশেষে (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার মুক্তারপুর বল্লালবাড়ি এলাকা থেকে সুমন শিকদারকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে র্যাব-৮ সিপিসি-৩ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ভুক্তভোগীর স্ত্রী ইসমোতারা (৩৬)পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি সুমন শিকদারকে মুন্সিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি নৃশংস ও মানবতাবিরোধী উল্লেখ করে তিনি বলেন, জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কেকে/এআর