কুমিল্লা নগরীতে আলোচিত জোড়া খুনের মূল আসামি কবিরাজ মো. মোবারক হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তার স্বীকারোক্তিতে অনুসারে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আসামি মো. মোবারক হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, হত্যার আগে সুমাইয়াকে ধর্ষণ করেছিল সে। মূলত, জ্বিন তাড়াতে ঝাড়ফুঁক করে সুমাইয়াকে বসে এনে তাকে প্রথমে ধর্ষণ করেন মোবারক। ঘটনাটি দেখে ফেলেন সুমাইয়ার মা। তাই তার মাকে হত্যা করেন তিনি। এরপর সুমাইয়ার কাছে আবার যান মোবারক। তখন সুমাইয়া বাঁধা দিলে তাকেও হত্যা করেন তিনি।’
মহিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বিষয়টি আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া কাপড়-চোপড়, বিছানা-চাদরসহ যাবতীয় বিষয় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর আরও ভালোভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার কালিয়াজুরী এলাকায় নিজ ভাড়া বাসা থেকে সুমাইয়া ও তার মায়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই সন্ধ্যায় মোবারক হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, গ্রেফতাকৃত মোবারক হোসেনই ওই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা।
কেকে/ এমএ