চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে গঠনতন্ত্র সংস্কার সহ মোট দশটি প্রস্তাবনা উল্লেখ করে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
চাকসু নির্বাচন এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৩৬ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ৩০ ও ৩১ আগস্টের হামলা এবং প্রশাসনের একপেশী সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের মনে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর পেছনে কোন কুচক্রী মহলের চাকসু বানচালের পরিকল্পনা জড়িত কি-না, সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার।
তিনি আরও বলেন, চাকসুর তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে দীর্ঘ ৩৬ বছরের গ্লানি মুছে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব তৈরির পথে অগ্রসর হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এই ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু আমরা লক্ষ করেছি; প্রশাসনের একপেশে, অদূরদর্শী, ছাত্রসংগঠনগুলোর সাথে কোনো ধরনের পরামর্শ না করেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় আমরা বেশ কিছু বিষয়ে উদ্বিগ্ন। একই সাথে কিছু বিষয় আমাদের মনে সংশয়ের সৃষ্টি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রশিবির তাদের ১০টি প্রস্তাবনা পেশ করে। যার মধ্যে রয়েছে—গঠনতন্ত্র সংশোধনে শিক্ষার্থী ও ছাত্রসংগঠনগুলোর মতামত নেওয়া। সভাপতির একচ্ছত্র ক্ষমতা কমিয়ে নির্বাচিত পদধারীদের ক্ষমতা বাড়ানো। দপ্তর সম্পাদক পদ পুরুষদের জন্য রাখার সিদ্ধান্তের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের প্রকাশ ও তাদের পদত্যাগ নিশ্চিত করা। প্রার্থীদের বয়সসীমা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা। ছাত্রলীগের হামলাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ করা এবং কমিশনের সদস্য ড. জাহিদুর রহমানকে অপসারণ করা এবং প্রশাসনের অভ্যন্তরে শিবিরবিরোধী অপপ্রচার বন্ধ করা।
কেকে/ আরআই