রাজবাড়ীতে টাউন মক্তব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুন কক্সের বিরুদ্ধে ১২ বছরের ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের ১৭ জন শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজবাড়ী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. তবিবুর রহমান অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত এই অভিযোগ করেন বিদালয়ের ১৭ জন সহকারী শিক্ষক।
এদিকে, অভিযোগের অনুলিপি প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা উপদেষ্ঠা, শিক্ষা সচিব, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ফরিদপুর দুদক কার্যালয়, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী শিক্ষা অফিসার ও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জুন কক্সকে দেওয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে জুন কক্স প্রধান শিক্ষক হিসাবে রাজবাড়ী টাউন মক্তব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দেন। ২০১৩ সালের আগস্ট মাস থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার আয়-ব্যয়ের হিসাব দেন নাই। এরমধ্যে ২০১৩ সালের আগস্ট মাস থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত কল্যাণ তহবিলের হিসাব, ২০১৩ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত স্লিপের টাকার হিসাব, ২০১৩ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়ের মার্কেটের মাসিক ৯ হাজার টাকা হারে সংগ্রহ করা দোকান ভাড়া সংগ্রহ করা টাকার হিসাব, ২০১৩ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত শিশু শ্রেণির টাকার হিসাব, শিক্ষক বদলীর টাকার হিসাব, শিক্ষকদের উপবৃত্তির টাকার হিসাব (একবার দেওয়া হয়েছে), শিক্ষকদের নিকট থেকে জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে মাসিক চাঁদ নেওয়া টাকার হিসাব (পর পর ৪ মাস), ২০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি বাবদ জনপ্রতি ২ হাজার টাকা করে গ্রহণ, ৫০০ টাকা করে শিক্ষার্থী ভর্তি ফরম বিক্রয় (৩ বছর) ও প্রসংসা পত্রের টাকার হিসাব, ২০১৩ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, কন্টিডেন্সির হিসাব, বার্ষিক পুরাতন বই-খাতা বিক্রির হিসাব, বর্ধিত ভবনের পুরাতন গেট ও পিলারের রড বিক্রির হিসাব, বর্ধিত ভবন থেকে বড় আকারের মেহগনি গাছ কর্তনের হিসাব, এটিইও মোশারফ হোসেন স্যারের বিদায়ে ২২ জন সহকারী শিক্ষকের কাছ থেকে ফোর্স করে ১ হাজার টাকা করে উত্তোলনের হিসাব এবং ২০১৯ সালের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চাঁদা উত্তোলন করা হয়েছে হলেও হিসাব দেওয়া হয়নি।
টাউন মক্তব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুন কক্স বলেন, ‘চক্রান্ত করে আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তাছাড়া মিথ্যা কথা বলে অনেক শিক্ষককের স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আমার কাছে এসে কোন ধরনের হিসাব চায় নাই এবং লিখিত বা মৌখিকভাবে কোন আবেদনও করে নাই। সব হিসাব আমার কাছে আছে।’
কেকে/ এমএ