সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সংগঠক বিপ্লব চন্দ্র সরকার বিনিয়োগ ক্যাটাগরিতে আমিরাত সরকারের ১০ বছর মেয়াদি গোল্ডেন ভিসা পেয়েছেন।
সোমবার (১৮ আগস্ট) দুবাইতে এ সম্মানের অধিকারী হন।
আমিরাত সরকার বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান পেশাজীবীদের বিশেষ ক্যাটাগরিতে এই সুবিধা দিয়ে থাকে। গোল্ডেন রেসিডেন্সি প্রাপ্তরা আমিরাতের নাগরিক না হয়েও শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা, সরকারি অনুষ্ঠানে যোগদান, বিমানবন্দরে প্রিভিলেজসহ নানা সুবিধা পান।
বিপ্লব চন্দ্র সরকার ১৯৮২ সালে বাউল শিল্পী মরহুম শাহ আব্দুল করিমের স্বৃতি বিজড়িত সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার ডুমরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা যোগেন্দ্র চন্দ্র সরকার ও মাতা গীতা রাণী সরকার দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে সবার বড় তিনি। পারিবারিকভাবে স্ত্রী সন্তানসহ আমিরাতে বসবাস করছেন।
বিপ্লব চন্দ্র সরকার উন্নত জীবনের আশায় ২০০৯ সালে পারিবারিকভাবে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে আমিরাতে পাড়ি জমান। একটি কোম্পানির সুপারভাইজার হিসেবে কাজ শুরু করলেও বর্তমানে তিনটি কোম্পানির মালিক তিনি৷ ২০২১ সালে চাকরি ছেড়ে নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করে বর্তমানে তিনটি কোম্পানির মালিক। বর্তমানে ৭০জনের অধিক শ্রমিক কাজ করছেন তার কোম্পানিতে।
প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলো হল "তারিক আল বায়ান টেকনিক্যাল সার্ভিস, তারিখ আল নাদা টেকনিক্যাল সার্ভিস ও বিপ্লন চন্দ্র সরকার টেকনিক্যাল সার্ভিস।
বিপ্লব চন্দ্র সরকার বলেন, আমিরাতের ভিসা বন্ধ থাকায় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ দিতে পারছি না। আমার কোম্পানিতে ৭০ জনের মত শ্রমিক হলেও বাংলাদেশি শ্রমিক সংখ্যা মাত্র ২০ জন। ২০২৪ সালে আমিরাত সরকারের ঘোষিত সাধারণ ক্ষমায় ২০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ দিতে পেরেছি। বর্তমানে আমিরাতের ভিজিট ভিসা, নতুন শ্রমিক ভিসা, ভিসা স্থানাত্বর ও পারিবারিক ভিসা বন্ধ রয়েছে। আমার কোম্পানিতে বাংলাদেশের শ্রমিকের চাহিদা প্রচুর থাকা সত্ত্বেও আমি নিয়োগ দিতে পারছি না।
অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আবেদন, নতুন শ্রমিক ভিসার সমস্যা সমাধানে কুটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন এবং কমপক্ষে ভিসা স্থানাস্তরের সুযোগ করে দিতে আমিরাত সরকারের সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করে প্রবাসী ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ দিতে সহায়তা করবেন।
আমিরাত সরকার বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান পেশাজীবীদের বিশেষ ক্যাটাগরিতে এই সুবিধা দিয়ে থাকে। গোল্ডেন রেসিডেন্সি প্রাপ্তরা আমিরাতের নাগরিক না হয়েও শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা, সরকারি অনুষ্ঠানে যোগদান, বিমানবন্দরে প্রিভিলেজসহ নানা সুবিধা পান।
এর আগে ভারত থেকে অভিনেতা রজনীকান্ত, শাহরুখ খান, সঞ্জয় দত্ত ও টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা, বাংলাদেশের অভিনেতা শাকিব খান, ক্রিকেটার আশরাফুল, তামিম ইকবাল আরব আমিরাতের গোল্ডেন রেসিডেন্সি পেয়েছেন। এছাড়া বিনিয়োগ, ব্যবসাসহ নানা ক্ষেত্রে বহু প্রবাসী ভারতীয় ও বাংলাদেশি গোল্ডেন রেসিডেন্সি পেয়েছেন।
কেকে/এআর