মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বসুর ধুলজুরি গ্রামের আনসার ভিডিপি ক্লাব সম্প্রতি রাজনৈতিক দলীয় কার্যক্রমে ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জাতীয় দৈনিক খোলা কাগজে (১৯ আগস্ট) ‘আনসার ভিডিপির ক্লাব দখল করে জামায়াতের কার্যালয় করার অভিযোগ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তাদের নজরে আসে। পরে ক্লাব ঘর রাজনৈতিক দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী একটি তদন্ত পরিচালনা করে।
প্রাথমিক তদন্তে আনাসার ও ভিডিপির জানায়, এ ক্লাব ঘরটি বাহিনীর উপজেলা বা জেলা কার্যালয় থেকে ভাড়া প্রদান করা হয়নি। তবে মহম্মদপুর ইউনিয়নের ইউনিয়ন দলনেত্রী ঝর্ণা পারভীন গোপনে অনুমোদনবিহীনভাবে ক্লাব ঘরটি ভাড়া দেয়ার চেষ্টা করেন। খবর পাওয়ার পরপরই জেলা কমান্ড্যান্ট মহম্মদপুর উপজেলা প্রশিক্ষক প্রতাপ রায়কে সরেজমিনে পরিদর্শনের নির্দেশ দেন।
পরিদর্শনকালে রাজনৈতিক দলের কোনো সাইনবোর্ড বা দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার দৃশ্য পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে ক্লাব ঘরটি তালাবদ্ধ করে বাহিনীর দখলে নেয়া হয়। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে ইউনিয়ন দলনেত্রী ঝর্ণা পারভীন স্বীকার করেন যে, তিনি নিজ উদ্যোগে ভাড়া দেওয়ার কথা বলেছেন, তবে কোনো লিখিত চুক্তিপত্র হয়নি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কেও তিনি অবগত ছিলেন না বলে জানান।
দায়িত্ব পরিধির অপব্যবহার ও কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া শৃঙ্খলা বহির্ভূত এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে ঝর্ণা পারভীনকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দৃঢ়ভাবে জানাচ্ছে যে, কোনোভাবেই বাহিনীর কোনো সম্পত্তি অনুমোদন ছাড়া ভাড়া বা ব্যবহারযোগ্য নয়। বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার মতো কোনো কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে।
কেকে/এজে