রংপুরের পীরগঞ্জে মালয়েশিয়া প্রবাসী সাজু মিয়ার স্ত্রী আসমা বেগমকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তিন দিন পর দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ।
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে তাদের আদালতে নেয়া হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ভেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের ভবানীপুর (বাদিপাড়া) গ্রামের শাহীনুর (৪৮) ও শাহীনুরের ছেলে বেলাল হোসেন (২২)।
এর আগে, রোববার বেলা দেড়টার দিকে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। তাদের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
গত শুক্রবার (২ আগস্ট) ভোরে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের ভবানীপুর (বাদিপাড়া) গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মালয়েশিয়া প্রবাসী সাজু মিয়ার স্ত্রী আসমা বেগমের (৪৫) মরদেহ। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে সোনিয়া আক্তার বাদি হয়ে পীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহতার মেয়ে সোনিয়া আক্তার জানান, বুধবার দিবাগত রাত থেকে একাধিকবার ফোন দিলেও মা কোনো সাড়া দেননি। বৃহস্পতিবার রাতে প্রবাসী বাবা সাজু মিয়াও মায়ের খোঁজ চান। উদ্বেগ বাড়লে রাত ১২টার দিকে এক প্রতিবেশী নারীকে মাকে ডাকতে পাঠান সোনিয়া। সাড়া না পেয়ে প্রাচীর টপকে আরেকজন ঘরে ঢুকে ভেতর থেকে গেট খুললে এলাকাবাসী রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, আসমা বেগম দীর্ঘদিন ধরে একাই বসবাস করছিলেন। মেয়ের বিয়ের পর থেকে বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত নারীকে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই তদন্ত শুরু হয় এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জড়িত সন্দেহে ওই দুই বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। হত্যার প্রকৃত উদ্দেশ্য ও পেছনের কারণ অনুসন্ধানে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
কেকে/ এমএস