কুমিল্লার মুরাদনগরে বিএনপির নেতাকর্মী ও পরিবহণ মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে জেল হাজতে প্রেরণের প্রতিবাদে, সকাল-সন্ধ্যা সকল ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখে প্রতিবাদ করছে কোম্পানিগঞ্জ পরিবহণ মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও শ্রমিক ইউনিয়ন। এ সময় তারা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন।
সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দূর পাল্লার সকল ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে আরো তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। তবে যাত্রীদের সুবিধার্থে রাস্তা খোলা রেখে সিএনজি চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়।
উল্লেখ্য যে, গত ২৫ মার্চ কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় হামলা এবং ছাত্র সমন্বয়ক ওবায়দুল হকের ওপর হামলার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ ৩২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ ও উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিবের চাচাতো ভাই। এতে আরো অজ্ঞাতনামা ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় বিএনপির ৬ কর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিলে তারা জামিনে বের হয়। বাকিরা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনে আসে এবং ২৭ জুন কুমিল্লা দায়রা জজ আদালতে জামিন চাইলে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবেদা খাতুন জামিন না মঞ্জুর করে উপজেলা বিএনপি ও যুবদলের ১৩ নেতাকর্মীকে কারাগারে প্রেরণ করে। এরপর থেকে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তারই প্রেক্ষিতে দিনব্যাপী সকল ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখে এ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ভুইয়া। কোম্পানিগঞ্জ শাখা শ্রমিক ইউনিয়নের আহ্বায়ক হাজী ইদ্রিস। জেলা শ্রমিকদল নেতা মো.জাকির হোসেন বিএসএস। জেলা শ্রমিকদল নেতা বাবুল সরকার। জেলা কৃষকদল নেতা, জাকির হোসেন। নবীপুর পূর্ব ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মাইনুদ্দীন, যুবদল নেতা ওয়াশিম স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
কেকে/এএম