নীলফামারীতে নতুন বাংলাদেশ; বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে তৃণমূল পর্যায়ের পাঁচ প্রতিষ্ঠানের গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৮ সোমবার) বেলা ১১টা থেকে টিআইবির অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) আয়োজনে সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ওই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
দুই ঘণ্টাব্যাপী গণশুনানীতে অংশ নেন টুপামারী ইউনিয়ন পরিষদ, টুপামারী ইউনিয়ন ভূমি অফিস, টুপামারী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, টুপামারী উচ্চ বিদ্যালয় ও টুপামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব প্রতিষ্ঠানে সেবাগ্রহীতা তাদের অভিযোগ এবং সেবা প্রাপ্তিতে অসঙ্গতির বিষয়গুলো তুলে ধরেন এ সময়। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা উপস্থিত থেকে উত্থাপিত অভিযোগ সমূহ সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সামাদ শিকদার। তিনি যে কোনো সরকারি অফিসে কর্মরত কর্মচারী যৌক্তিক কারণ ছাড়া নির্ধারিত সময়ে অফিসে অনুপস্থিত থাকলে সরাসরি আভিযোগ জানানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, শুধু আর্থিক লেনদেনই অনিয়ম বা দুর্নীতি না, রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করাও অনিম, দুর্নীতি।
রাষ্ট্রের সকল স্তরের কর্মচারীকে নিজ নিজ জায়গায় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ ধরনের আয়োজন যত বেশি হবে রাষ্ট্র নাগরিকদের কাছে ততো বেশি জবাবদিহি করার সুযোগ পাবে এবং জনগণের সাথে রাষ্ট্র কাঠামোর দূরত্ব কমে যাবে, একই সঙ্গে রাষ্ট্র ততো স্বচ্ছ হবে।
অনুষ্ঠানে সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি মো. আকতারুল আলমের সভাপতিত্বে গণশুনানী পরিচালনা করেন সনাক সদস্য মিজানুর রহমান। এসময় বক্তৃতা দেন টুপামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মছিরত আলী শাহ ফকির, মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. গাজীউর রহমান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জগন্নাথ রায়, সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতাউল গনি ওসমানি, টুপামারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাসুদুর রহমান, টুপামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারহানা সুলতানা, টুপামারী ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা বিউটি খাতুন, সনাক সহসভাপতি শামীমা হক প্রমুখ।
এ সময় গণশুনানীতে অংশ নেওয়া দপ্তর প্রধানগণ উত্থাপিত সকল অভিযোগ সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।
কেকে/এএম