লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় সাব-স্টেশন স্থাপনের পর থেকে গত জুন ও জুলাই মাসে ব্যাপক লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন গড়ে ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় কাটাচ্ছেন। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বেশিরভাগ রাতই কাটছে অন্ধকারে। অথচ এমন পরিস্থিতিতেও জুন ও জুলাই মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে আগের মাসগুলোর তুলনায় দুই থেকে তিনগুণ বেশি।
বিল হাতে পেয়ে প্রতিকার চেয়ে অনেক গ্রাহক ছুটছেন রায়পুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে। একজন ভুক্তভোগী জানান, চারবার অফিসে যাওয়ার পর নানা তথ্য দিয়ে অনুরোধ করলে বিল সংশোধন করা হয়। কিন্তু অনেকেই এ সুযোগ পাচ্ছেন না। প্রতিদিন শতাধিক গ্রাহক মিটার পরীক্ষা ও পরিবর্তনের আবেদন জমা দিলেও অতিরিক্ত বিল থেকে মিলছে না রেহাই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রাহকদের বেশিরভাগ অভিযোগ নতুন ডিজিটাল মিটার নিয়ে। তাদের দাবি, বিদ্যুৎ ব্যবহার না করলেও বা মেইন সুইচ বন্ধ থাকলেও এসব মিটারে বিল উঠছে। মে ও জুন মাসে প্রবল লোডশেডিংয়ের মধ্যেও কারো কারো বিল এসেছে আগের তুলনায় তিন থেকে চার গুনেরও বেশি।
রায়পুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মোশারফ হোসেন জানান, রায়পুর উপজেলায় প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। তাদের জন্য দৈনিক ১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হলেও গ্রিড থেকে সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ৯ থেকে ১০ মেগাওয়াট। এ কারণে ব্যাপক লোডশেডিং হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, অতিরিক্ত বিল নিয়ে প্রতিদিন প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাহক অফিসে অভিযোগ করছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা প্রতিদিন ১৫-২০টি করে মিটার পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছি। আশা করছি, আগামী মাসে বিদ্যুৎ বিল কিছুটা কমে আসবে।
সাধারণ গ্রাহকরা বলছেন, লোডশেডিংয়ে বিদ্যুৎ সুবিধা না পেলেও মাসশেষে বিল দেখে মাথায় হাত পড়ছে। তাদের প্রশ্ন—যেখানে বিদ্যুৎ ছিল না, সেখানে এত বিল আসছে কীভাবে?
তারা অবিলম্বে ত্রুটিযুক্ত ডিজিটাল মিটারগুলোর কার্যকারিতা যাচাই, সঠিক পরিমাপের নিশ্চয়তা এবং অতিরিক্ত বিল সংশোধনের দাবি জানাচ্ছেন।
কেকে/এআর