ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার অধিকাংশ সড়কে সড়কবাতি নেই, আর যেগুলো আছে, তারও বেশিরভাগ নষ্ট। ফলে সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে ডুবে যায় এলাকা। এতে চুরি, ছিনতাই ও মাদক সেবনের মতো অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন পৌরবাসী।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ সড়কেই অনেক দূর পরপর দু-চারটা লাইট জ্বলে না। তারপর আবার কিছুটা অন্ধকার। সড়কের পাশে ল্যাম্পপোস্ট থাকলেও সেগুলোর বাতি নষ্ট থাকায় আলো জ্বলছে না। অনেকগুলোতে সংযোগ তার-ও নেই। বর্তমানে সড়কগুলোতে যে পরিমাণ সড়কবাতি জ্বলছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত।
পৌর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ নাসির বলেন, বিগত ১ বছর ধরে উপজেলা হতে বটতলী পর্যন্ত সড়কের বাতি জ্বলতেছে না। আমি নিজে পৌরসভায় গিয়ে অভিযোগ দিয়েও কোনো সুফল পাচ্ছি না।
জালাল মিয়া বলেন, পৌরসভার সবচেয়ে আমরা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসবাস করি। পৌর সদর হতে নতুনহাটি পযর্ন্ত যদি ৩০টি লাইট থাকে তারমধ্যে ১৮ টি লাইট নষ্ট শুধু ৭টি লাইট জ্বলে। লাইট না জ্বলার কারণে প্রতিনিয়তে আমরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছি। পৌরবাসিন্দা মো. জিলানী বলেন, সদর হতে আসাদনগর পর্যন্ত অনেক সড়কবাতি নষ্ট। সড়কবাতি না থাকায় সন্ধ্যার পর আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করতে হয়। অথচ পৌরসভা হিসেবে বাসিন্দাদের ঠিকই কর দিতে হচ্ছে। সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকার নেমে আসে। সড়কবাতি না থাকার কারণে এলাকায় চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
এবিষয়ে পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম বলেন, গত কয়েকদিনের বর্জ্য পাতের কারনে বহু সড়কবাতি নষ্ট হয়েছে। নষ্ট লাইটগুলো কিছু দিনের মধ্যে মেরামত করা হবে। লাইট একটা নষ্ট হলে আর একটা লাগানোর সময় দিতে হবে। বর্ষার সময় প্রতিদিন কাজ করতে পারে না।
পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বলেন, কিছু ছ্যাচরা চোর ও মাদকসেবি বৈদ্যুতিক খুটির তার চুরী করে নিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসীকে সচেতন হতে হবে। আমরা সড়কে লাগানোর জন্য তার ও বাতি কিনেছি। শীঘ্রই লাগানো হবে।
কেকে/ এমএস