কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিএনপির রাজনীতিতে যারা আলোচনায় উঠে এসেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম খালেদ সাইফুল্লাহ ভিপি সোহেল। দলীয় রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, মাঠপর্যায়ে সাংগঠনিক দক্ষতা এবং জনমানুষের সঙ্গে গভীর সংযোগ তাকে এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সামনে নিয়ে এসেছে।
দলীয় পদে তিনি বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বারবার কারাভোগ করেও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। তৃণমূল বিএনপির প্রাণভোমরা ও গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানো এই নেতাকে কেন্দ্র করেই কিশোরগঞ্জ-১ সদর ও হোসেনপুরের রাজনীতিতে একটি জোরালো আলোচনা তৈরি হয়েছে।
বিএনপির দুর্দিনে আপসহীন, রাজনীতিতে নীতিনিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি, বিএনপির উপর দমন-পীড়নের দুঃসময়ে যখন অনেকেই নিশ্চুপ কিংবা সরে দাঁড়িয়েছেন, ঠিক তখন খালেদ সাইফুল্লাহ ভিপি সোহেল রাজপথে থেকেছেন দৃঢ়চেতা সৈনিক হিসেবে। বিএনপির মহান আদর্শ জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি ছিলেন অগ্রভাগে।
একান্ত সাক্ষাৎকারে খালেদ সাইফুল্লাহ ভিপি সোহেল বলেন, আমি ছাত্রদল থেকে রাজনীতির শুরু করেছি। ১৯৯০ সালে গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ভিপি ছিলাম, রাজনীতি আমার কাছে পদ নয়, এটা মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা। আমি ধানের শীষ প্রতীকের একজন প্রত্যাশী হিসেবে নয়, একজন সৈনিক হিসেবে নিজেকে জনগণের সেবায় নিবেদিত রেখেছি।
সংগঠনের চালিকাশক্তি ও জনমানুষের ভরসার নাম ভিপি সোহেল দলীয় নেতা কর্মীদের মতে, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে ভিপি সোহেল কেবল একজন জনপ্রিয় নেতা নন, বরং তিনিই হচ্ছেন সেই সংগঠক, যিনি তৃণমূলকে চাঙ্গা রেখেছেন, রাজপথে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রেখেছেন এবং বিএনপির সাংগঠনিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছেন। স্থানীয় রাজনীতিতে তার গ্রহণযোগ্যতা ও সততা তাকে অন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের চেয়ে আলাদা করেছে।
রাজনীতি শুধু বক্তব্য কিংবা কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধ রাখেননি ভিপি সোহেল। করোনা মহামারি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সামাজিক বিপর্যয় যেখানেই মানুষের দুঃখ-কষ্ট, সেখানেই তাকে সামনে থেকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। গরিব-দুস্থদের খাদ্য-ত্রাণ বিতরণ, শিক্ষার্থীদের সহায়তা, অসুস্থদের চিকিৎসা এসব কাজে তিনি মাঠে ছিলেন নিরলসভাবে। এমন জনদরদী ভূমিকা তাকে জনগণের হৃদয়ে পৌঁছে দিয়েছে।
মনোনয়নপ্রত্যাশায় শক্ত অবস্থান ও সংগঠনের আস্থা, দলীয় ও স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ভিপি সোহেল এখন শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। তার নিষ্ঠা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও জনপ্রিয়তা তাকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকায় এগিয়ে রেখেছে। যদিও এখনও দলীয় প্রার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হয়নি, তবে কিশোরগঞ্জ-১ এর জনপরিমণ্ডলে তিনিই এখন আলোচনার কেন্দ্রে।
স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মীরা মনে করেন, আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি একটি সংগঠিত, জনসম্পৃক্ত ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির প্রার্থী দিতে চায়, তবে খালেদ সাইফুল্লাহ ভিপি সোহেল হতে পারেন ধানের শীষের জন্য একটি কার্যকর ও বিজয়ী মুখ। তার সাংগঠনিক ক্যারিশমা, ত্যাগী ইতিহাস এবং জনগণের সাথে নিবিড় সম্পর্ক বিএনপিকে এ আসনে শক্তিশালী ভিত্তি এনে দিতে পারে।
‘আমি ছিলাম, আছি, থাকব জনগণের পাশে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে, আদর্শকে বুকে ধারণ করে, রাজনীতি করবো মানুষের জন্য; এটাই আমার অঙ্গীকার’ বলেছেন ভিপি সোহেল।
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে জাতীয়তাবাদী শক্তির পুনর্জাগরণে খালেদ সাইফুল্লাহ ভিপি সোহেল এখন এক গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য নাম। বিএনপির প্রতি তার অঙ্গীকার, সংগঠনে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা এবং জনগণের প্রতি তার আন্তরিকতা দলকে আগামী নির্বাচনে সঠিক কৌশল ও উপযুক্ত প্রার্থী বাছাইয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে—এটাই এখন কিশোরগঞ্জ-১ এর রাজনীতির মূল সুর।
কেকে/ এমএস