রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল ভবনে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই দুইবার বিস্ফোরণ হয়। এরপর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ দগ্ধ হন অনেকেই।
মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার সিনিয়র শিক্ষক ওয়ালিউল্লাহ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে যেভাবে যুদ্ধবিমান রাউন্ড দেয়, সোমবারও বিমানটি ঠিক সেভাবে রাউন্ড নেয়, টার্ন করে। আমার কাছে মনে হয়েছিল, পাইলট ঢাকার বাইরে চলে যেতে চেয়েছিলেন।
ঘটনার সময় স্কুলেই ছিলেন এ শিক্ষক। সেসময়ের দৃশ্য বর্ণনা করে তিনি বলেন, বিমান যখন পড়ে যায় তখন দুইবার বিস্ফোরণ হয়। প্রথম বিস্ফোরণে হালকা আওয়াজ হয়, তখন আগুন ছিল পেছনের অংশে। ৬ -৭ সেকেন্ড পর দ্বিতীয়বার যখন আবার বিস্ফোরণ হয় তখন বিকট শব্দ হয়। এরপর আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমি বুঝতে পারছিলাম না কী করবো। পাশেই আবার দেড়টার দিকে স্কুলের বাস ছাড়ার কথা। সেই বাস থেকে একজন বের হয়ে বললো, স্যার আমাদের বাঁচান।
ওয়ালিউল্লাহ আরও বলেন, আমাদের স্কুল ও কলেজ মিলিয়ে ১০ হাজারের ওপর শিক্ষার্থী। স্কুল সেকশনে শিক্ষার্থী ৩ হাজার ৮০০ জন। যে ভবনে বিমান বিধ্বস্ত হয় সেখানে প্রায় ৩৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী ক্লাসে ছিল।
কেকে/এজে