স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জনগণ সচেতন হলে মব ভায়োলেন্স বন্ধ হবে। মব ভায়োলেন্স, চাঁদাবাজি কখনো গ্রহণীয় নয়। একে শক্ত হাতে প্রতিহত করা দরকার।
সোমবার (১৪ জুলাই) কক্সবাজারে জুলাই স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। কক্সবাজারের বিজয় সরণী সড়কের হোটেল শৈবাল সংলগ্ন স্থানে নির্মাণ করা হচ্ছে জুলাই স্মৃতি স্তম্ভটি।
তিনি বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের রক্তের ওপর নতুন বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। তাদের
শুধু তারিখে-তারিখে নয়, প্রতিনিয়ত স্মরণ করতে হবে। জুলাই যোদ্ধাদের অবদানের
কারণেই আমরা স্বৈরাচারমুক্ত একটি দেশ পেয়েছি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাইয়ে নিহত ও আহতদের যে অবদান সেটি কখনও টাকা দিয়ে পোষানো যাবে না। তবুও আমরা আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। এ স্মৃতি স্তম্ভ শুধু দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য নয় বরং প্রতিনিয়ত জুলাই যোদ্ধাদের অবদান মনে রাখার জন্য। তাদের আত্মত্যাগের স্মারক এটি। এ স্মৃতিস্তম্ভের মাধ্যমে স্বজন হারানো পরিবারগুলোও যেন স্মৃতিচারণ করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
এদিন কক্সবাজারে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ’ বিষয়ক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘জনগণ সচেতন হলে মব ভায়োলেন্স বন্ধ হবে। মব ভায়োলেন্স, চাঁদাবাজি কখনো গ্রহণীয় নয়। একে শক্ত হাতে প্রতিহত করা দরকার।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যত উঁচু লেভেলের চাঁদাবাজ হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত গডফাদারদেরও ধরতে হবে। মাদক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের মাধ্যমে পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে। তাই মাদক নির্মূলে সংশ্লিষ্ট অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। হলরুমে ডুকতেই সাংবাদিক সুশীল নেতৃবৃন্দ, কর্মকমর্তাদের সাথে গিয়ে হাত মেলান এবং কৌশলাধি জিজ্ঞাসা করেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এমন আচারণে সকলে অভিভূত হন।
কেকে/এজে