বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশি
শিক্ষার্থীদের কাছে এক নির্ভরযোগ্য নাম হয়ে উঠেছে ফিউচারএড ইংলিশ
ল্যাংগুয়েজ সেন্টার। দুই দশকের অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ঢাকার বনানী,
ধানমন্ডি ও মিরপুর এলাকায় আইইএলটিস রেজিস্ট্রেশন, প্রস্তুতি কোর্স, মক
টেস্ট এবং স্টাডি অ্যাব্রড কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ
নির্মাণে ভূমিকা রেখে চলেছে।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের অফিসিয়াল
পার্টনার হিসেবে আইইএলটিস-এর যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে ফিউচারএড। যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আমেরিকা ও মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বহু
শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সফলভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে প্রতিষ্ঠানটি
দেশের অন্যতম প্রধান এডুকেশন কনসালটেন্সি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
২০২৪
সালে ৫০০-এর বেশি শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছে, যাদের
অনেকে পূর্ণ কিংবা আংশিক স্কলারশিপও পেয়েছেন।
ফিউচারএড বাংলাদেশের
সর্ববৃহৎ আইইএলটিস পরীক্ষা সেন্টার, যেখানে বছরে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী
পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে সর্ববৃহৎ লিসেনিং ল্যাব ও
আইইএলটিস কম্পিউটার ডেলিভারড এক্সাম সেন্টার, যা ব্রিটিশ কাউন্সিলের
অনুমোদিত প্রথম কেন্দ্র হিসেবেও স্বীকৃত।
আইইএলটিস প্রস্তুতি কোর্স
পরিচালনা করেন ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ শিক্ষকরা।
সকাল, সন্ধ্যা ও উইকেন্ড ব্যাচের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারেন
ফিউচারএডের ‘হাতের মুঠোর আইইএলটিস কোর্স’-এ। প্রতিটি ব্যাচে সীমিত
শিক্ষার্থী, পার্সোনাল কেয়ার এবং সাপ্তাহিক প্রগ্রেস ট্র্যাকিং রিপোর্টের
ব্যবস্থা রয়েছে।
শুধু আইইএলটিস নয়, স্পোকেন ও জেনারেল ইংলিশ শেখার
কোর্সেও রয়েছে সকাল, বিকাল ও সাপ্তাহিক ব্যাচ, যেখানে আন্তর্জাতিক মানের
শিক্ষক দ্বারা পাঠদান করা হয়। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশেষ
কোর্সের ব্যবস্থা।
ফিউচারএডে রয়েছে রিয়েল এক্সাম এনভায়রনমেন্টে
আপডেটেড মক টেস্ট ও ফিডব্যাক সেশন—যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের দক্ষতা
যাচাই করতে পারেন।
পাশাপাশি, রয়েছে ৩০০টিরও বেশি বইয়ের অনলাইন লাইব্রেরি, এবং ল্যাংগুয়েজ ক্লাব যেখানে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ইংরেজি চর্চা করতে পারেন।
ফিউচারএড
নিয়মিত আয়োজন করে প্যারেন্ট সেমিনার ও স্টুডেন্ট ওয়ার্কশপ, যেখানে বিদেশে
শিক্ষার বিভিন্ন দিক ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ফিউচারএড তাদের
অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত কাউন্সেলর টিমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ইউনিভার্সিটি
অ্যাপ্লিকেশন থেকে শুরু করে ভিসা পর্যন্ত সম্পূর্ণ সহায়তা প্রদান করে থাকে।
কম টিউশন ফিসহ ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার বহু নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে
ভর্তি ও স্কলারশিপ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা ও ফান্ডিং
পরামর্শ দিয়ে থাকে তারা।
২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪—এই ৩ বছর ব্রিটিশ
কাউন্সিলের ‘কান্ট্রি টপ পারফর্মার অ্যাওয়ার্ড’ অর্জনের মাধ্যমে তাদের
দক্ষতা ও মান প্রমাণ করেছে ফিউচারএড।
ভিসা প্রাপ্তির পর
শিক্ষার্থীদের বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও পেশাদার সংস্থার সঙ্গে পেশাগত সংযোগ
স্থাপন ও ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেবা দেয় ফিউচারএড, যাতে করে তারা স্থায়ী ও
কার্যকর কর্মজীবনের পথ খুঁজে পান।
২০২৫ সালের মধ্যে ১ হাজার
শিক্ষার্থীকে আন্তর্জাতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানোর লক্ষ্য নিয়েছে
ফিউচারএড। সেইসঙ্গে ঢাকায় আরো দুটি নতুন শাখা চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে।
শনিবার
(১২ জুলাই) ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘টপ পারফর্মার অব দ্য ইয়ার ২০২৪’-এর
অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ‘ফিউচারএড ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ সেন্টার’ বনানী
ভেন্যুতে উচ্চ শিক্ষায় বিদেশ গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য অভিজ্ঞ ও
বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের দ্বারা ফ্রি আইইএলটিএস মাস্টার ক্লাস, স্বনামধন্য
বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের দ্বারা ফ্রি কাউন্সেলিং এবং
স্বনামধন্য বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি অফারলেটার প্রদানের উদ্দেশে ‘ফ্রি
সেমিনার ও অ্যাপ্লিকেশন ডে’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ সময় ফিউচারএডের
স্টুডেন্ট কাউন্সিলর তাসলিমা ইয়াসমিন বলেন, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং
কানাডাসহ বিশ্বের সব উন্নত দেশের ২ হাজারের ও অধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে
কাজ করে ফিউচারএড।
ফিউচারএডের রয়েছে দক্ষ এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন
কাউন্সেলিং টিম, ইউনিভার্সিটি অ্যাপ্লিকেশন থেকে ভিসা পর্যন্ত সম্পূর্ণ
সাপোর্ট, কম টিউশন ফিসহ শতভাগ ভিসা সাফল্যের হার, এমনকি ২ ঘণ্টায় অফার
লেটার পাওয়ার সুযোগ, ইউনিভার্সিটি অ্যাপ্লিকেশন অ্যাসেসমেন্ট থেকে সাবমিশন,
SOP (Statement of Purpose) রাইটিং এবং ক্রেডিট ট্রান্সফার—সফল ভিসা
প্রক্রিয়াকরণের জন্য ফিউচারএড দিচ্ছে ওয়ান-স্টপ সলিউশন।
তিনি আরো
বলেন, আমরা কেবল ভিসা প্রসেসিং পর্যন্তই আমাদের সেবা সীমাবদ্ধ রাখি না।
ভিসা প্রাপ্তির পরও, আমরা বিদেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে
সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পেশাগত পরামর্শ ও ক্যারিয়ার
কাউন্সিলিংয়ে সহায়তা করে থাকি।
প্রশিক্ষক এবং ব্র্যান্ড উপস্থাপক
সাদমান সাকিব বলেন, ফিউচারএড বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের বৃহত্তম
অফিসিয়াল আইইএলটিএস পরীক্ষা কেন্দ্র হতে পেরে গর্বিত।
২০২২, ২০২৩ ও
২০২৪ পরপর তিনবার ব্রিটিশ কাউন্সিলের কান্ট্রি টপ পারফর্মার অ্যাডওয়ার্ড
প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা আধুনিক ক্লাসরুম সুবিধা দিচ্ছি, উচ্চ
ফ্যাসিলিটি কম্পিউটার ডেলিভারড (CD) ল্যাব, আইইএলটিস রেজিস্ট্রেশনের সঙ্গে
দুর্দান্ত সব অফার, ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের দ্বারা
পরীক্ষার মূল্যায়ন এবং একটি বাস্তব পরীক্ষার পরিবেশের মতো মক টেস্ট—সব
মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের ফাইনাল পরীক্ষার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত করতে যা
যা দরকার তার সব কিছু মিলবে এক ছাদের নিচেই
ফিউচারএডের
ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির মো. ইউসুফ খাঁন, যিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি,
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব
কুইন্সল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ায় ২ দশকের বেশি সময় শিক্ষকতা করেছেন। তিনি বলেন,
আমাদের লক্ষ্য কেবল ভর্তি করিয়ে দেওয়া নয়—আমাদের লক্ষ্য শুধু ভর্তি করিয়ে
দেওয়া নয়, বরং প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বপ্নপূরণে একটি পারসোনালাইজড,
বাস্তবসম্মত ও বিশ্বাসযোগ্য গাইডেন্স প্রদান করা।
এ সময় উচ্চশিক্ষায় বিদেশ গমনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরাও তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
কেকে/এএম