১৮৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত অল ইংল্যান্ড লন টেনিস অ্যান্ড ক্রোকুয়েট ক্লাব একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন ক্লাবরূপে গড়ে ওঠে যা অল ইংল্যান্ড ক্রোকুয়েট ক্লাব নামে পরিচিত। ক্লাবটির প্রথম মাঠ ছিল উইম্বলডনের ওরপল রোডে। ১৮৭৬ সালে মেজর ওয়াল্টার ক্লপটন উইংফিল্ড কর্তৃক আবিষ্কৃত লন টেনিস খেলা যা তিনি স্টিকি বা স্ফেইরিস্টিক নামে বলতেন, তা ক্লাবের কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়।
ছবি : সংগৃহীত
১৮৭৭ সালের বসন্তে দলটির নাম পুনরায় পরিবর্তিত হয়ে দি অল ইংল্যান্ড ক্রোকুয়েট অ্যান্ড লন টেনিস নাম ধারণ করে। নাম পরিবর্তন করে এটি প্রথমবারের মতো লন টেনিস প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়। মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের পরিচালনায় অনুসৃত নিয়মাবলি পরিবর্তিত করে এ খেলার উপযোগী আইন-কানুন তৈরি করা হয়। বর্তমানে প্রচলিত আইন-কানুনের মধ্যে তৎকালীন নেট বা জালের উচ্চতা ও খুঁটি এবং নেট থেকে সার্ভিস লাইনের দূরত্ব বহাল রয়েছে।
ছবি : সংগৃহীত
দুই সপ্তাহব্যাপী এ টেনিস প্রতিযোগিতা জুনের শেষ দিক শুরু হয়ে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। ২০১২ সালের প্রতিযোগিতাটি ২৫ জুন থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রমিলা এবং পুরুষ এককের চূড়ান্ত খেলাগুলো সাধারণত—২য় শনিবার ও রোববারে অনুষ্ঠানের জন্য পূর্বেই নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
ছবি : সংগৃহীত
উইম্বলডনে প্রাচীনধারায় বহমান রয়েছে খেলোয়াড়দের পোশাক-পরিচ্ছদের ব্যবহার। আম্পায়ার বা রেফারি এবং লাইন্সম্যান—সবাই বিশেষ ধরনের গাঢ় সবুজ ও ফিকে লাল রঙের পোশাক পরিধান করেন। খেলোয়াড়রা সাদা পোশাক পরেন। দর্শকদের জন্য স্ট্রবেরি এবং ক্রিম খাওয়াসহ রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা। আরো স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে কোর্টে কোনোরূপ বিজ্ঞাপনচিত্র নেই। ২০০৯ সালে খেলা চলাকালে বৃষ্টিবিঘ্নত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে ছাদের আচ্ছাদন দেওয়া হয়েছে।
ছবি : সংগৃহীত
প্রতিটি টেনিস প্রতিযোগিতার শুরুতে খেলোয়াড়রা তাদের অবস্থান নির্ধারণের জন্য ড্র বা টসের মুখোমুখি হন। উইম্বলডনে খেলোয়াড়দের র্যাংকিং যা-ই থাকুক না কেন এ সুযোগ পান। কিন্তু অন্যান্য টেনিস প্রতিযোগিতায় মাঠের অবস্থানের জন্য র্যাংকিংকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।