দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিমেবি) দুই নারী কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোকনুজ্জামান এ নির্দেশ দেন।
এর আগে দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন দুদকের চার্জশিটভুক্ত ২৭ নম্বর আসামি দেবশ্রী রানী দাস ও ৪৪ নম্বর আসামি তামান্না ফিরোজী। শুনানি শেষে বিচারক জামিন না দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তারা দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
দুদকের আইনজীবী লুৎফুল কিবরিয়া শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুদকের মামলায় চার্জশিটভুক্ত দুই আসামি দেবশ্রী রানী দাস ও তামান্না ফিরোজী আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ৫৮ জনের বিরুদ্ধে ২০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ অভিযোগ আমলে নিয়ে ইউজিসি ২০২৩ সালে তদন্ত করে। তদন্তে তৎকালীন উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও রেজিস্ট্রার (অ.দা) মো. নঈমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়।
কেকে/এএস