কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপি বা ছাত্রদলের কারো কোনো ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতা ছিল না বলে ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
রোববার (২৯ জুন) নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, কুমিল্লার মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী সুমনের নেতৃত্বে একজন নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সমগ্র দেশবাসী ক্ষুব্ধ। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জনৈক ফজর আলীও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে তথ্য প্রমাণ উঠে এসেছে। এই অমানবিক ঘটনার সাথে বিএনপি বা ছাত্রদলের কারো কোনো ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতা ছিল না।
তিনি আরো বলেছেন, কিন্তু আমরা লক্ষ্য করলাম, উক্ত ঘটনাকে বিকৃত করে মধ্যরাতে জামায়াত শিবির চক্র বিএনপির বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার করেছে।
এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিবির নেতা সাদিক কায়েম এবং ঢাবি শিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ; যারা গণঅভ্যুত্থানের পরে ছাত্রলীগের নেতা থেকে শিবির নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এখনো তাদের গুজব আর সজীব ওয়াজেদ জয়ের গুজবের ভাষা একই।
শিবির নেতারা বিএনপির নাম জড়িয়ে ধর্ষণের গুজব ছড়িয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের চরিত্রহনন করার চেষ্টা করেছে। বিএনপির কর্মীদের বিরুদ্ধে মব উসকে দিতে চাইছে। তাদের গুজবসন্ত্রাস ধরা পড়ার পরেও ভুল স্বীকার করে কোনো অনুতাপ প্রকাশ করেনি।
ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আরো বলেছেন, গুজব রটনা ছাত্রশিবিরের মধ্যে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্রশিবির গুজবসন্ত্রাস নামের দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। তাদের এই রোগ ছোঁয়াচে রোগের মতো নতুন নতুন অনেক দলের মধ্যেও প্রবেশ করেছে। ছাত্রশিবির মিথ্যা ও অপতথ্যের আশ্রয় নিয়ে রাজনীতির পরিবেশ দূষিত করেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা, শ্লীলতাহানি, ধর্ষণসহ সব ধরনের নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার। আমরা সব ধরনের নারী নির্যাতনের বিচার দাবি করছি।
কেকে/এএম