সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবীতে শুরু হওয়া জুলাই আন্দোলনের পরেও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে বহাল তবিয়তে রয়েছে কোটা। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিতে সেই কোটা বাতিলের দাবীতে আবারো আন্দোলনে নেমেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে কোটা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, গত ২১ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তিতে এ, বি, সি ও ডি ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তির সুযোগপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সময়সূচির বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শিক্ষার্থীদের হাতে কোটা না মেধা; আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না; সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে; প্রশাসন তুমি কার? রক্তাক্ত জুলাইয়ের সাথে বেইমানি; কোটা বিলুপ্তিতে আবারো দেবো রক্ত; কোটার জন্য আন্দোলনে করে আবার নতুন কোটা কেন? ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যে কোটার কারণে আমাদের এতগুলো ভাইবোনের জীবন চলে গেছে, সেই কোটা পদ্ধতি এখনো বহাল রেখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের রক্তের সাথে বেইমানী করেছে।আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এত শহীদ, এত আহত, এত রক্তের পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন কীভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, কেন নেয় তা আমাদের কাছে স্পষ্ট না। অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সহ যেসব বৈষম্যমূলক কোটা আছে সব বাতিল করতে হবে। নইলে আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, যে ১ দফার কারণে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় তা শুরু হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। প্রচলিত ধ্যানধারণা এবং আগের মতোই কোটা ব্যবস্থা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যদি প্রশাসনের বোধদয় না হয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আলোচনা করে এই পদ্ধতি বাতিল না করে বহাল রাখে তাহলে আমরা প্রশাসন ভবন ব্লকেড করে দিতে বাধ্য হবো। কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে প্রয়োজনে আবারো দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
কেকে/ এমএস