ভোলার চরফ্যাশনে ছাত্রলীগের দুই নেতার কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে তাদের পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রদল নেতা এ সালাম জলিল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় তাদের দুইজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার শশীভূষন থানার এওয়াজপুর পানিরকল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগের দুই নেতা হলেন, শশীভূষন থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরশাদুল আলম নোবেল ও আতিকুর রহমান শিবলু। তারা শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিযুক্ত জলিল উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং ওই গ্রামের কাদির মাঝির ছেলে। রিয়াদ স্থানীয় খালেক পাটওয়ারীর ছেলে।
ছাত্রলীগ নেতা নোবেল জানান, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে স্থানীয় ছাত্রদল নেতা সালাম জলিল ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করে আসছেন। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় শুক্রবার দুপুরে ছাত্রদল নেতা জলিলের নেতৃত্বে ছাত্রদলের রিয়াদসহ ১০-১২ জনের একটি সংবদ্ধচক্র এওয়াজপুরের পানিরকল এলাকায় আমাকে ও আমার বন্ধু ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিবলুকে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা ও বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। এরপর স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ছাত্রলীগ নেতা শিবলু জানান, জলিল ও রিয়াদ কয়েক মাস ধরে তার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দিলে তাকে মেরে ফেলার নির্দেশ রয়েছে উপর থেকে, জলিল এমন হুমকি দিয়ে আসছেন। আজ আমার উপর অতর্কিত হামলা চালাল।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ছাত্রদল নেতা এ সালাম জলিলের কাছে জানতে চাইলে জানান, ছাত্রলীগের দুই নেতা নোবেল ও শিবলুকে মেরে ফেলার জন্য ওপর মহলের নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনা মতে কাছ চলছে।
উল্লেখ্য, জলিল ও রিয়াদ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলছেন। তারা বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় ও অত্যাচার নিপিড়ন করে আসছেন। তারা এলাকায় বিভিন্ন সময় অস্ত্রে মহড়া দিচ্ছেন।
শশীভূষন থানার ওসি মো. তারিক হাসান রাসেল বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এআর