দুই পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে বিরোধের জেরে দুই দিন ধরে হবিগঞ্জ-সিলেট এক্সপ্রেস বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক হাজার যাত্রী। হবিগঞ্জী বাস চলাচল বন্ধের সুযোগে ছোট যানবাহনগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলেও অভিযোগ যাত্রীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল ৬টা থেকে শ্রীমঙ্গল-শেরপুর রুটের বাসের সঙ্গে হবিগঞ্জ-সিলেট এক্সপ্রেসের বিরোধের জেরে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
দুই পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে বিরোধের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত হবিগঞ্জ-সিলেট বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলে স্থানীয় পরিবহন শ্রমিক নেতারা বলেন। যাত্রী ইয়াহইয়া, সাজিদ, সাহেনা ও জেসমিন জানান, তারা বেলা ১১টায় শ্রীমঙ্গল হবিগঞ্জ রোডের হবিগঞ্জী বাসস্ট্যান্ডে এসেছেন। কেউ মিরপুর, কেউ হবিগঞ্জ, কেউ শায়েস্তাগঞ্জ যাবেন, কিন্তু হবিগঞ্জী বাস চলাচল বন্ধ।
এখন বিকল্প যানবাহন হিসেবে বাধ্য হয়ে সিএনজি রিজার্ভ করে যাচ্ছেন। এতে তাদের জনপ্রতি ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে। আরশাদ হোসাইন নামের এক যাত্রী বলেন, আমি বাহুবল থেকে মিরপুর হবিগঞ্জী বাসস্ট্যান্ডে সকাল ১০টায় এসে জানতে পারি হবিগঞ্জী বাস বন্ধ। পরে সিএনজি ৬০০ টাকা রিজার্ভ করে শ্রীমঙ্গলে এসেছি।
আমার তিনগুণেরও বেশি বাড়া গুনতে হয়েছে। মৌলভীবাজার শহরের হবিগঞ্জী বাসস্ট্যান্ডে দেখা হয়, আসআদ হাবিব নামের এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার শিশু বাচ্চাসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে এসে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করছি হবিগঞ্জী বাসের জন্য। পরে জানতে পারি হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ। পরে বাধ্য হয়ে তিনগুণ ভাড়া বেশি দিয়ে মাইক্রোবাস রিজার্ভ করেছি। যাত্রী সদরুল, আকলিমা, মোহাইমিন বলেন, হঠাৎ করে হবিগঞ্জ-সিলেট রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আমরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।
অন্য যানবাহনে বাসের চেয়ে ভাড়া দ্বিগুণ গুনতে হচ্ছে। তারপরও যেতে হবে কিছু করার নাই। দ্রুত সমস্যার সমাধান করে বাস চলাচল স্বাভাবিক করার আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। এ বিষয়ে শ্রমিক পরিবহনের নেতৃবৃন্দের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সাড়া মিলেনি। সরেজমিনে হবিগঞ্জ মোটর মালিক গ্রুপের শ্রীমঙ্গল কার্যালয় গিয়ে দেখা যায়, তাদের অফিসটি তালাবদ্ধ।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, হবিগঞ্জ-সিলেট এক্সপ্রেস বাস চলাচল বন্ধের বিষয়টি আমি গতকাল রাতে শুনেছি। সমস্যা সমাধানের জন্য আমি হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও মৌলভীবাজার বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেছি। মৌলভীবাজার হবিগঞ্জী বাস মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম রিপন আমাকে জানিয়েছেন আজকের মধ্যেই রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে। ডিসি বলেন, আশা করা যাচ্ছে দ্রুত সমাধান হবে।
কেকে/এএস