পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সীমান্ত নিরাপত্তা, গবাদিপশু ও কাঁচা চামড়া পাচার প্রতিরোধ এবং পুশইন রোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে যামিনীপাড়া জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. খালিদ ইবনে হোসেন বলেছেন, এবার রকুরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত দেশীয় গবাদিপশু মজুদ রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অবৈধ পশু প্রবেশ রোধে সীমান্তে কড়া নজরদারি ও অতিরিক্ত টহল জোরদার করা হয়েছে। কোরবানির পশুর চামড়া পাচার প্রতিরোধে ঈদের দিনসহ পরবর্তী কয়েকদিন বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে এবং সীমান্তজুড়ে মোতায়েন থাকবে বিশেষ টহল ও চেকপোস্ট। একইসাথে বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারি এবং রাতে নাইট ভিশন ক্যামেরাসহ সীমান্ত পর্যবেক্ষণ চলছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার যামিনীপাড়া ব্যাটালিয়নে (২৩ বিজিবি) আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক পুশইসের কথা উল্লেখ করে জোন অধিনায়ক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি বাড়িয়েছে টহল ও গোয়েন্দা তৎপরতা। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে অনুপ্রবেশ প্রবণ এলাকায় অতিরিক্ত নজরদারি বসানো হয়েছে। অনুপ্রবেশের প্রতিটি ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর সঙ্গে নিয়মিত পতাকা বৈঠকে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে বলে জানিয়ে বিজিবির এ সুরক্ষা প্রস্তুতি দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও কুরবানির পশুর বাজার স্থিতিশীল রাখতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
কেকে/ এমএস