যেদিন আমরা শুনব কওমি ও আলীয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানে দেশসেরা হয়েছে, সেদিন বাংলাদেশ সেরা হবে—চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন ফটিকছড়িতে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, মাদ্রাসায় আইসিটি শিক্ষকের দাবি যৌক্তিক এবং সময়োপযোগী। আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় আছি।
মঙ্গলবার (২৭ মে) দিনভর সরকারি সফরে এসে উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন ও উদ্বোধন শেষে উপজেলা মিলনায়তনে সুধী সমাবেশে তিনি আরো বলেন, জুলাই বিপ্লবে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। পজেটিভ বাংলাদেশ বেশি দূরে নয়, তবে কিছুটা সময় লাগবে। দিন শেষে পরিবর্তন আসবেই।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, উপজেলা ভেঙে দুইটি করা গেলে স্থানীয়দের ৪০ শতাংশ দাবি পূরণ হয়ে যাবে। সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করছে, সব দাবি ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউএনও মো. মুজাম্মেল হক চৌধুরী। এতে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনারের একান্ত সচিব মো. মেজবাহ উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় নাথসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্র প্রতিনিধিরা।
এর আগে সকালে তিনি উপজেলার নারায়নহাট ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার এবং ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয় ভিজিট করে নারায়ণহাট ডিগ্রি কলেজের সভায় যোগ দেন। দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় পরিদর্শন এবং নবনির্মিত কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন করেন। একইসঙ্গে নবনির্মিত মিলনায়তন ও ওয়াকওয়ে উদ্বোধন শেষে সুধী সমাবেশে যোগ দেন। এ ছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬৫ জনকে আর্থিক অনুদান, চা-শ্রমিকদের ঘর হস্তান্তর এবং সমাজসেবা অধিদফতরের অধীনে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, তার এ সফরে উপজেলার সার্বিক উন্নয়নকাজ তরান্বিত হবে ও প্রশাসনিক কার্যক্রম আরো গতিশীলতায় ফিরবে। আমরা উপজেলার যৌক্তিক দাবিগুলো তাকে জানিয়েছি। তিনি ধীরে ধীরে দাবীগুলো পূরণে আশ্বাস দিয়েছেন।
কেকে/এএম