রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলে এ বছর ব্যাপকভাবে পাট চাষ হয়েছে। পলি ও দোআঁশ মাটির উর্বরতায় এবং অনুকূল আবহাওয়ার কারণে কৃষকরা ভালো ফলনের আশা করছেন।
উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের ইচলী গ্রামের কৃষক ভুট্টু মিয়া বলেন, চৈত্রের শেষদিকে পাটের মৌসুম শুরু হয়, আর বৈশাখে পুরোদমে আবাদ হয়। আষাঢ়-শ্রাবণে পাট কাটা হয়। এ সময় যদি পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়, তাহলে জাগ দিতে সুবিধা হয় এবং ভালো মানের পাট পাওয়া যায়। তবে পানির ঘাটতি হলে উৎপাদনে সমস্যা হয়।
শংকরদহ এলাকার পাটচাষি মজিবর রহমান জানান, চলতি বছর এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। গাছ ভালোই হচ্ছে। তবে বাজারমূল্য নিয়ে কিছুটা চিন্তায় আছি। আশা করি সরকার ন্যায্য দামে কৃষকদের কাছ থেকে পাট কিনবে।
চল্লিশশাল এলাকার দছির আলী জানান, দুই বিঘা জমিতে পাট করেছি। গাছের বয়স এখন দেড় মাস। গাছ ও পাতার গঠন ভালো, আশাকরি ভালো ফলন পাব।
বাগেরহাট এলাকার মনোয়ার হোসেন (৩৫) বলেন, গত বছর পাট করিনি, কিন্তু বাজারে ভালো দাম ছিল। তাই এবার আড়াই বিঘা জমিতে পাট করেছি।
কৃষকরা জানান, এক বিঘা জমিতে পাট চাষে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখান থেকে গড়ে প্রায় ১০ মণ পাট পাওয়া যায়। গত বছর প্রতি মণ পাট ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম জানান, এ বছর গঙ্গাচড়া উপজেলায় দেশি জাতের পাট ৩৪০ হেক্টর এবং তোষা জাতের পাট ২৩৯০ হেক্টর মিলে মোট ২৭৩০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। কৃষকদের পাট চাষে উদ্বুদ্ধ করতে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ, বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, চলতি বছর উপজেলার পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ৫৪৯ বেল।
কেকে/এএম