সরকার আপাতত গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বুধবার (৭ মে) শিল্প খাতে গ্যাস সরবরাহ বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, দেশীয় গ্যাস উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় ঘাটতি পূরণে এলএনজি আমদানি বাড়ানো হচ্ছে, যার ফলে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি হবে। তবে জনস্বার্থ ও শিল্পখাতের কথা বিবেচনা করে দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ফাওজুল কবির আরো জানান, নতুন গ্যাস অনুসন্ধানে জোর দিচ্ছে সরকার। এ বছর ৫০টি এবং আগামী বছর ১০০টি কূপে অনুসন্ধানের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র থেকে ২৭ এমএমসিএফডি নতুন গ্যাস পাওয়া গেছে এবং তা পাইপলাইনে যুক্ত হয়েছে।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রমজান উপলক্ষ্যে যে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছিল, সেখান থেকে ১৫০ মেগাওয়াট দেয়া হবে শিল্প কারখানায়।
ফাওজুল কবীর আরো বলেন, মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই সময়ে ১০০ কার্গো এলএনজি আমদানি করা হবে। এর ফলে সেখানে যত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে তা শিল্প কারখানায় দেয়া হবে। এই দুই সিদ্ধান্তের ফলে ২৫০ এমএমসিএফ গ্যাস বাড়বে শিল্প কারখানায়।
তিনি বলেন, সরকার বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন এবং সংকট মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
হামীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ বলেন, শিল্পখাতে গ্যাস সমস্যার সমাধানে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। এই পরিকল্পনা অব্যাহত থাকলে সমস্যা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে।
কেকে/এজে