ভারতের ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকায় প্রকাশিত “বাংলাদেশে ৬৪০ সাংবাদিককে টার্গেট” শীর্ষক প্রতিবেদনকে ‘অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর ও অসত্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বুধবার (৭ মে) এক ফ্যাক্টস পোস্টে প্রেস উইং জানায়, দিল্লিভিত্তিক সংগঠন রাইটস অ্যান্ড রিস্কস অ্যানালাইসিস গ্রুপ দাবি করেছে, তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই। এতে বলা হয়, ‘সাংবাদিকদের টার্গেট করার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশের কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
প্রেস উইং আরো জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এবং প্রেস সচিব শফিকুল আলমসহ সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে বরাবরই সোচ্চার।
প্রসঙ্গত, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর বেশ কিছু সাংবাদিক, যাদের আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে আগের সময়ে দায়ের করা মামলাগুলোর আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে প্রেস উইং বলেছে, এটি ‘টার্গেট’ করার বিষয় নয়, বরং আইন ও বিচার ব্যবস্থার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
এতে আরো বলা হয়, সুহাস চাকমার নেতৃত্বাধীন আরআরএজি অতীতে নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছে এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল বার্তা দিয়েছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে পার্বত্য চট্টগ্রামের সহিংসতা নিয়ে আরআরএজি যে ৯ জন নিহত হওয়ার দাবি করেছিল, তা স্বাধীন তদন্তে প্রমাণিত হয়নি। বিশ্বাসযোগ্য বাংলাদেশি গণমাধ্যম সেখানে চারজনের মৃত্যুর কথা জানায়।
প্রেস উইং দাবি করে, এমন বিভ্রান্তিকর তথ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের চেষ্টা করা হচ্ছে। ডয়চে ভেলের সাংবাদিক তাসমিয়া আহমেদসহ কিছু ব্যক্তি এই তথ্য যাচাই না করেই প্রচার করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।
প্রেস উইং স্পষ্ট করে জানায়, আমরা যেকোনো সহিংসতা বা নিপীড়নের নিন্দা জানাই। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বিচারপ্রক্রিয়া ও মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা একটি নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে জনগণের সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
কেকে/এএম