রাঙ্গামাটির লংগদু 'র পাহাড়ের পরতে পরতে ও রাস্তার দুইপাশের গাছগুলো ডালপালা জড়িয়ে ছাতার মতো শেড তৈরি করে দাড়িয়ে আছে। সবুজ পাতার ফাঁক গলিয়ে সে সব ডালগুলো ছেয়ে গেছে বেগুনি রঙের ফুলে। হালকা নিলুয়া বাতাসে রাস্তার উপর কিংবা ফসলের মাঠে ঝরে পড়ছে সে ফুলগুলো। দেখলে মনে হয় কোনো অতিথিকে বরণ করতে সাজানো হয়েছে। এমনই নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের জানান দিচ্ছে রাংগামাটি জেলার লংগদু উপজেলার পথ, ঘাট,নদীর দুই পাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে ফোটা জারুল ফুল।
গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদে পুড়ছে প্রকৃতি সঙ্গে সবুজ পাতায় রৌদ্রের নির্মমতা। তার ফাঁকে বেগুনি-সাদার অপূর্ব সমন্বয়ে মায়াবী চোখ মেলে তাকিয়ে আছে জারুল সুন্দরী। দৃষ্টিনন্দন বর্ণচ্ছটায় বেগুনি রঙে এখন অপূর্ব লংগদু উপজেলার সব কয়কটি ইউনিয়নের রাস্তা, ঘাট সহ নদী কিনারা। সবুজ প্রকৃতির বুকে বেগুনি জারুল যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে পর্যটক পিপাসু অতিথিদের।
লংগদু উপজেলায় ঘুরে দেখা যায়,মাইনী মুখ, করল্যাছড়ি, ভাসান্যাদম, বগাচতর, কালাপাকুজ্জা, লংগদু সদরসহ গুলশাখালী ইউনিয়নের পথ ঘাট ও বাড়ির আঙিনায়।
ফুলে ফুলে সৃষ্টি করেছে অপরূপ নান্দনিকতার। লংগদু উপজেলার সকল রাস্তাঘাটসহ বনজ বাগান সাজিয়ে তুলেছে নতুন সাজে। যোগ করেছে নতুন সৌন্দর্যের মাত্রা।
জারুলকে বলা হয় বাংলার চেরি। গ্রীষ্মে অপূর্ব হয়ে ফোটে এই ফুল। চোখ ভরে যায় তার রূপ দেখে, কবি দার্শনিকরা জারুল ফুলকে নিয়ে লিখে গেছেন অসংখ্য গান, কবিতা সহ নানা রংয়ের গল্প ও গীত কবিতা।
জারুল ফুলের এমন মনকাড়া সৌন্দর্যে মুগ্ধ অত্র উপজেলার প্রকৃতি প্রেমিরাসহ জনসাধারণ। কেউ কেউ মুগ্ধ হয়ে স্থিরচিত্র ধারণ করে তা শেয়ার করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। উপজেলায় এখন হালকা পাতলা কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙের সঙ্গে একক রাজত্ব করছে বেগুনি রঙের জারুল ফুল।
জারুল ফুলের সৌন্দর্যের কথা জানতে উপজেলার সাংবাদিক ও কলাম লেখক, বিপ্লব ইসলাম বলেন, সমগ্র পাহাড়ি জনপদসহ লংগদু উপজেলার অন্যতম নজরকাড়া জারুল ফুল। এর বেগুনি রঙের মায়ায় হারিয়ে যাই দূর অজানায়। যত দেখি ততই ভালো লাগে। বুনো ফুল জারুলের সৌন্দর্য মুখে বলে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এমনকি এই অঞ্চলের একটি গ্রামের নাম করনও করা হয়েছে জারুল বাগান।
কেকে/ এমএস