মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫,
২৩ বৈশাখ ১৪৩২
বাংলা English

মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
শিরোনাম: খালেদা জিয়াকে বহনকারী বিমানের অবতরণ সকাল ১০টায়      বিদেশি কূটনীতিকদের মন্তব্যে নির্বাচন বিলম্বের ইঙ্গিত       বৈষম্যবিরোধী সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণ      আলিফ হত্যা মামলায় চিন্ময়কে গ্রেফতার দেখানো হলো      কোরবানির পশুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ      হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় আটক ৫৪      হাতিরঝিলে চলাচলে শৃঙ্খলা বাড়াতে রাজউক চেয়ারম্যানের নির্দেশনা      
খোলাকাগজ স্পেশাল
বিদেশি কূটনীতিকদের মন্তব্যে নির্বাচন বিলম্বের ইঙ্গিত
বিশেষ প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫, ১২:১২ এএম  (ভিজিটর : ৫৯)
ছবি : খোলা কাগজ

ছবি : খোলা কাগজ

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট রোডম্যাপ পাওয়া যায়নি। বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ন্যূনতম সংস্কার করে আগামী ডিম্বেরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচনের সংস্কার ও ফ্যাসিস্টদের বিচারের বিষয়ে জোর দিচ্ছে। অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে বিভিন্ন সময় বলেছেন। 

এদিকে, বিএনপির পক্ষ থেকে একাধিকবার অভিযোগ করা হয়েছে, নির্বাচন বিলম্বের ষড়যন্ত্র চলছে। দলটি দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। এর মধ্যে গতকাল সোমবার রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ হওয়া উচিত, কারণ এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কোনো চাপ নেই। 

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত ডিকাবের অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, রাজনৈতিক দল ও অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করবে বলে আমরা আশা করি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নির্বাচনে সহায়তাও দিতে আগ্রহী ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে নির্বাচন কবে হবে, তা ঠিক করবে বাংলাদেশ সরকার। তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে। 

অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের বিচারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে সংস্কার এখন বড় সুযোগ এনে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন মাইকেল মিলার। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে, বলেন তিনি। রাখাইনে মানবিক করিডর নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত বলেন, উভয় পাশেই ভুক্তভোগীদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। সবাই যেন সমানভাবে ত্রাণসহায়তা পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। 

এদিকে নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে মাইকেল মিলারের এমন মন্তব্যকে নির্বাচন বিলম্বের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ সমস্ত সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা যথেষ্ঠ সময় সাপেক্ষ। নির্বাচনের আগে যদি তা করতে হয়, তাহলে নির্বাচন পেছাতে হবে। তারা বলছেন, পশ্চিমা কূটনৈতকিদের সঙ্গে ড. ইউনূসের সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই ইইউর মতো গুরুত্বপূর্ণ জোটের এমন বক্তব্যে সুদূরপ্রসারি ইঙ্গিত রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে সরকার স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়নি। যেটাকে সন্দেহের চোখে দেখছে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। সেই পরিস্থিতিতে মাইকেল মিলারের বক্তব্য গভীর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। 

ইইউর রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। মাইকেল মিলারের বক্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি যে বক্তব্য দিয়েছেন, এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে একধরনের হস্তক্ষেপের শামিল। সংস্কার আমরা আগে করব, না পরে করব, কী করব এটা একান্তই আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তারা তাদের কূটনৈতিক সীমার বাইরে গিয়ে কথা বলছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি আরো বলেন, নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে তাদের কোনো হোমওয়ার্ক নেই। কারণ সংবিধান সম্পর্কিত যে সমস্ত সংস্কারগুলো আছে, যেগুলো নির্বাচনের আগে নির্বাচিত পার্লামেন্ট ব্যতীত সংস্কারের কোনো সুযোগ নেই। এটা তিনি জানেন না। হ্যাঁ, সংবিধানের বাইরে অনেক ইস্যু আছে, যেসব ব্যাপারে আমাদের ঐকমত্যের জায়গা আছে। সরকার ইচ্ছা করলে আগেই সেগুলো সংস্কার করতে পারত। আমি মনে করি এখনো সেগুলো করার সুযোগ আছে। 

বিদেশিদের আরো বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে আরো দায়িত্বশীল হওয়া উচিত উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, ইইউ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। তারা যখন কথা বলে, মনস্তাত্ত্বিকভাবে এটা ধরে নেওয়া হয় সব সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে তারপর নির্বাচন। আর সরকারের মধ্যে আমরা দেখছি একটা প্রবণতা আছে নির্বাচনকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝুলিয়ে দেওয়া। যদিও আগামী বছরের জুন পর্যন্ত এটা টাইমলাইন দিয়েছে। কিন্তু এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে যে, সরকার যে বক্তব্যটা শুনতে চায়, সেই বক্তব্যই ইইউ রাষ্ট্রদূতের মধ্য দিয়ে এলো কিনা, সে প্রশ্নও উঠেছে। তাই ওনাদের এসব বিষয়ে কথাবার্তা বলার ক্ষেত্রে আরো সতর্ক হওয়া দরকার। তাদের আরো দায়িত্বশীল আচরণ করা দরকার।

কেকে/ এমএস
আরও সংবাদ   বিষয়:  বিদেশি   কূটনীতিক   মন্তব্য   নির্বাচন  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়াকে বহনকারী বিমানের অবতরণ সকাল ১০টায়
প্রতিবেশী বাড়ির ভাড়াটিয়ার ছুরিকাঘাতে বাড়ির মালিক খুন
বিদেশি কূটনীতিকদের মন্তব্যে নির্বাচন বিলম্বের ইঙ্গিত
বৈষম্যবিরোধী সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণ
শিক্ষার্থীদের পেটাবে রাবি ছাত্রদল, পরিকল্পনার স্ক্রিনশট ফাঁস!

সর্বাধিক পঠিত

প্রকৌশলী তুহিনের মুক্তির দাবীতে গঙ্গাচড়ায় বিক্ষোভ মিছিল
বাঞ্ছারামপুরে অভিযুক্ত কোটিপতি কাজী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে
বৈষম্যবিরোধী সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণ
দুই দফা দাবিতে বান্দরবান বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের কর্মবিরতি পালন
গোবিপ্রবিতে শিক্ষকদের পাঠদান ও গবেষণায় দক্ষতা বৃদ্ধিবিষয়ক কর্মশালা

খোলাকাগজ স্পেশাল- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝
close