আওয়ামী লীগের বিচার ও মৌলিক সংস্কার না করে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শুক্রবার (২ মে) বিকালে রাজধানীর গুলিস্তানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এক সমাবেশে দলটির নেতারা এ ঘোষণা দেন।
সমাবেশে এনসিপির নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে টালবাহানা করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। গত ৫ আগস্টেই জনগণ সিদ্ধান্ত দিয়েছে— এই খুনি ও ফ্যাসিস্ট দলটির আর কোনো স্থান এই বাংলার মাটিতে নেই।
দলটির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করার পক্ষে যে বক্তব্যগুলো আসছে, তা জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে অপমান করছে। হাইকোর্ট দেখিয়ে জনগণের রায় ঠেকানো যাবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিচার ও সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো জাতীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা জনগণ মানবে না।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন বলেন, আমরা খুনি হাসিনাকে বিদায় দিয়েছি। এখন তাকে বাংলাদেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এই বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চলবে না।
দলের আরো এক যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দীন মাহাদী বলেন, আবার কোনো নির্বাচন হলে, শহিদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে।
সমাবেশে এনসিপির নেতা হুমায়রা নূর বলেন, ১৫ বছর দেশের মানুষকে শোষণ করেছে আওয়ামী লীগ। ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে দলের যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকার বলেন, বিচার ও মৌলিক সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সময়ক্ষেপণ চলবে না।
দলের অন্যান্য নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। শহিদ পরিবারের সদস্যরাই ঠিক করবেন এই দলে রাজনীতি করার সুযোগ থাকবে কি না।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন— এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ প্রমুখ।
সমাবেশে বিভিন্ন সময় ‘এই মুহূর্তে দরকার, বিচার আর সংস্কার’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন দলটির নেতাকর্মীরা।
কেকে/এএম