নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অভিযানে গ্রীন সেন্টমার্টিন পরিবহনের একটি বাস থেকে ১৮ হাজার ৫০০ পিস মিথাইল অ্যামফিটামিনযুক্ত ইয়াবাসহ দুই যুবককে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কনকর্ড সিটি আবাসিক প্রকল্পের সামনে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. রিফাত হোসেনের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, জেলা কার্যালয়, নারায়ণগঞ্জ ‘ক’ সার্কেলের একটি আভিযানিক দল এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে সন্দেহভাজন গ্রীন সেন্টমার্টিন পরিবহনের (নং ময়মনসিংহ-ব-১১-০২৮০) বাস থামিয়ে A-3 ও B-3 নম্বর সীটে বসা দুই যুবককে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, ফরিদপুর দিয়াপাড়ার বহুতগাড়া এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে সাহেদ আলী রবিন (৩৬) ও ফরিদপুর সিংহপ্রতাব গোরদিয়া এলাকার ফজলু মির্ধার ছেলে মো. সালমান (৩০)।
তল্লাশির সময় সাহেদ আলী রবিনের ডান হাতে ধরা একটি ট্রাভেল ব্যাগ থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা (ওজন ৯৬০ গ্রাম) এবং মো. সালমানের ব্যাগ থেকে ৮ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা (ওজন ৮৪০ গ্রাম) উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও একটি Vivo YI7S মোবাইল সেটও জব্দ করা হয়। ইয়াবাসমূহ স্বচ্ছ পলিথিনে রাখা ছিল এবং নমুনা সংগ্রহ ও লেবেলিং করে সীলগালা করা হয়েছে।
রেইডিং পার্টির সদস্যদের মধ্যে ছিলেন উপ-পরিদর্শক ইকবাল আহমেদ দীপু, সিপাই মো. রেজাউল করিম, মো. নাসির উদ্দিন, মো. আমিরুল ইসলাম, মো. শাকিল হোসেন, মো. আকাশ আহমেদ রাব্বি ও গাড়ি চালক মো. রেদওয়ান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাক্ষী মো. তানজিল (২৩) ও মো. হাসান মুরাস (৩০)।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৩৬(১) ধারার ১০(গ) ও ৪১ ধারায় সোনারগাঁ থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্ত পরিচালনা করবেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ‘ক’ সার্কেলের পরিদর্শক মো. খোরশেদ আলম বলেন, এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে আমরা বদ্ধপরিকর।
কেকে/ এমএস