মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫,
৩ আষাঢ় ১৪৩২
বাংলা English

মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
শিরোনাম: পাল্টা হামলায় ইরানে ৪৫০, ইসরায়েলে ৫০ জন নিহত      নেত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাবের স্ক্রিনশট ভাইরাল, সারোয়ার তুষার বললেন আমার না      মুশফিক-শান্তর ফিফটিতে স্বস্তিতে বাংলাদেশ      জ্বালানি তেলের দাম আপাতত বাড়ছে না: অর্থ উপদেষ্টা      সচিবালয়ে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত      পোশাক খাতে নতুন চ্যালেঞ্জ      ভোটের আগেই হচ্ছে বৃহত্তর ইসলামি ঐক্য      
গ্রামবাংলা
বাঞ্ছারামপুরে প্রত্যন্ত গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে এক পাঠাগার
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশ: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:০৯ এএম
ছবি: প্রতিনিধি

ছবি: প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর সদরে সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে কোন পাঠাগার নেই। প্রশাসন বার বার আশ্বাস দিলেও পার্শ্ববর্তী সব উপজেলায় সরকারি অর্থায়নে পাঠাগার থাকার পরেও,এখানে সে-ই আশ্বাসের বাস্তবায়ন এখনো হয়নি।
 
আধুনিকতার এই যুগে কমছে বই প্রেমী মানুষের সংখ্যা। পাঠাগারও নেই বললেই চলে! তবে বাঞ্ছারামপুরের প্রত্যন্ত এক গ্রামে দেখা মিলে আধুনিক সুজ্জিত এক পাঠাগারের। সেখানে থরে থরে সাজানো নানান বইয়ের সমাহার আর বই পড়ার পরিবেশ মন কাড়ে যে কারোর। মনে হবে, বসে একটা বই পড়েই নেওয়া যাক।

উপজেলার পাড়াতলী গ্রামে ছোট্ট এক পুকুর ধার ঘেঁষে পাঠাগারটির অবস্থা। ছায়া নিবিড় পরিবেশে এখানে বই পড়তে দেখা যায় শিশু, তরুণ, আর বৃদ্ধদের। গল্পে-আড্ডায় তারা সময় কাটান শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতিসহ জ্ঞানগর্ভ আলোচনায়। 

পাড়াতলী গ্রামের এই পাঠাগারটি গড়ে তুলেছেন মুন্সী বাড়ির লোকজন! ঢাকায় থাকা এই বাড়ির সরকারি কর্মকর্তাদের পরামর্শ আর গ্রামে থাকা মানুষদের শ্রম মিলিয়েই এমন উদ্যোগ! সবার সাড়াও মিলছে বেশ, বিশেষ করে বই পড়তে দল বেঁধে আসছে তরুণরা। যেখানে,বর্তমানে সবার হাতে মোবাইল নিয়ে ঘাটাঘাটি চলছে।

পাঠাগারে বেশী স্থান পেয়েছে এই উপজেলার লেখকদের বই। স্থানীয় লেখকদের কাছ থেকে বই সংগ্রহ করছেন পাঠাগারের উদ্যোক্তারা। অনেক কবি লেখক এসে আড্ডাও দেন এখানে।

বিভিন্ন নামীদামি লেখকের পাশাপাশি, শিশুতোষ বই থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সমৃদ্ধ লেখকদের বই রয়েছে এখানে। 

তরুণ প্রজন্মকে মানবসম্পদে গড়ে তোলা আর গ্রামে গ্রামে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়ার কাজটিই করছেন পাঠাগারের কারিগররা! তাদের চাওয়া বই পড়ার অভ্যাসে সমাজে আসুক ইতিবাচক চিন্তা-ধারা। দেশ জাতি হোক সমৃদ্ধ।

বই পড়তে আসা তরুণ আশরাফুল ইসলাম মারুফ বলেন, গ্রামে আসলে লাইব্রেরি দেখাই যায় না। এত প্রতিবন্ধকতার মধ্যে এমন আধুনিক লাইব্রেরি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার, মনটা ফুরফুরে হয়ে গেছে এখানে এসে বই পড়ে। 

পাঠাগারের অন্যতম উদ্যোক্তা দেলোয়ার হোসেন অরণ্য বলেন, আমরা চাই জ্ঞানের আলোয় চলুক এই সমাজ, মূর্খতার দিন শেষ। আগামী প্রজন্ম যেন আলোকিত এক সমাজ পায়, সব গ্রামে যেন এমন পাঠাগারের আয়োজন ছড়িয়ে পড়ে সেই প্রত্যাশা নিয়েই এই উদ্যোগ। তরুণ লেখকদের উজ্জীবিত হওয়ার সুযোগ আছে পাঠাগারে এসে। নিজেদের মধ্যে জ্ঞানে আদান-প্রদানে এক সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তুলতে চাই আমরা।

কেকে/এআর
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

বাঞ্ছারামপুরে বিএনপি নেতা সুজনের জন্মদিনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
সড়ক দুর্ঘটনায় সন্তানের মৃত্যুর পর মারা গেল মা, নিহত ৩
টেস্ট দল হিসেবে টাইগারদের প্রথম বছর
পাল্টা হামলায় ইরানে ৪৫০, ইসরায়েলে ৫০ জন নিহত
ফিউচার নেশন : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বে যুব সমাজের ক্ষমতায়ন

সর্বাধিক পঠিত

মাদ্রাসায় না এসেও ১২ বছর ধরে বেতন তোলেন অফিস সহকারী!
ঈশ্বরগঞ্জে গরু-ছাগল ও বসতঘর লুটপাট
কাউনিয়ায় টাকার বিনিময়ে টিসিবি কার্ড বিতরণ, ইউপি চেয়ারম্যান আটক
জাতীয় নির্বাচন কোনো অজুহাতেই পেছানো উচিত নয় : সিপিবি নেতা প্রিন্স
সংবাদ প্রকাশের পর ময়লার ভাগাড় সরিয়ে নিল ফটিকছড়ি পৌরসভা

গ্রামবাংলা- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝
close