রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নে টিসিবির কার্ড বিতরণে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলামকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে টেপামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে টিসিবির কার্ড বিতরণ চলাকালে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে জনপ্রতি তিনশো টাকা আদায়ের অভিযোগ পেয়ে অভিযানে নামে প্রশাসন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ টিম তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান। পরে ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলামকে সেনাবাহিনী আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই টিসিবি পণ্য বিতরণে অনিয়ম করে আসছিলেন ওই চেয়ারম্যান। আটক ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম ওই ইউনিয়নের বুড়িরহাট এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে এবং টেপামধুপুর  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। 

টেপামধুপুর ইউনিয়নের রাজিব শটিবাড়ি গ্ৰামের টিসিবির উপকারভোগী নুরুজ্জামান বলেন, তার কাছে থেকে গত অক্টোবরে টিসিবির কার্ডের জন্য বসতবাড়ির কর নিয়েছে। একই অর্থবছরের স্মার্ট কার্ড দেওয়ার সময় আবার বসতবাড়ির কর তিনশো টাকা রশিদ মুলে নিয়েছে। এটা চাঁদাবাজি। তিনি বলেন, শুধু তার কাছেই নয়, ইউনিয়নের সব অসহায় উপকারভোগীদের কাছ থেকে বসতবাড়ির ট্যাক্সের নামে প্রায় বেশি বেশি করে টাকা আদায় করা হয়েছে। 

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ শাহ্। তিনি জানান, টেপামধুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ফ্যামিলি কার্ড (টিসিবি) ভুক্তভোগীদের মধ্যে মঙ্গলবার স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়। এসময় টেপামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম ফ্যামিলি কার্ড টিসিবি দেওয়ার বিপরীতে ভুক্তভোগী প্রত্যেকের কাছ থেকে বসতবাড়ির কর বাবদ তিনশো টাকা আদায় করেন। অনেকের কাছ থেকে একই অর্থবছরে দুইবার বসতবাড়ির কর আদায় করা হয়েছে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীরা স্মার্ট কার্ড বিতরণের বিপরীতে বসতবাড়ির কর আদায়ের প্রতিবাদ করলে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রাখে উত্তেজিত লোকজন। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলামকে আটকের পর পুলিশে সোর্পদ করেন। এ ব্যাপারে কাউনিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। 

কেকে/এআর