সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও ঘুড়িদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম আহম্মেদ তুলিপ কর্তৃক ওই উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী মৌসুমি আকতার মিষ্টিকে শ্লীলতাহানি ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে গাইবান্ধায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে মিষ্টি চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় জেলা শহরের অবিরাম হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাঘাটা উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী মৌসুমি আকতার মিষ্টি।
মৌসুমি আকতার মিষ্টি বলেন, ৩ বছর পূর্বে সাঘাটা উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রীর পদ নিয়ে সেলিম আহম্মেদ তুলিপের সাথে দ্বন্দ চলে আসছে। সেলিম আহম্মেদ তুলিপ তার পছন্দের প্রার্থীকে সভানেত্রীর নির্বাচিত করতে না পারায় আমার ওপর ক্ষোভ বাড়তে থাকে। এর জেরে তুলিপসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ তাকে সেদিন উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে সেলিম আহম্মেদ তুলিপ আমার প্রতি ক্ষোভ পুষে রাখেন এবং সুযোগ পেলেই ক্ষতি করার চেষ্টা করেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত জেলা বিএনপির আলোচনা সভার দিন তার বড় ভাই জুম্মারবাড়ী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব স্বপন সরদারকে সেলিম আহম্মেদ তুলিপের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করা হয় বলে অভিযোগ করেন মিষ্টি।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় জেলা বিএনপির সহসভাপতি তদন্ত টিমের সদস্য মোন্নাফ আলমগীর তদন্ত রিপোর্ট না দেওয়ায় জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি।
তিনি বলেন, সঘাটা উপজেলার সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন ও তার ছেলেকে মারধরের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে আমি মানববন্ধনে অংশ নেই। এরপর থেকেই তুলিপ ও তার লোকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে শ্লীলতাহানির হুমকি দিয়ে আসছে। ফলে আমি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছি না। প্রতিনিয়ত ভয়ে থাকি, কখন কী ঘটে।
তিনি বলেন, আমার জীবনের নিরাপত্তা ও নারীত্বের সম্মান রক্ষায় আমি দেশবাসী, গণমাধ্যম ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সেই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সেলিম আহম্মেদ তুলিপের এমন বেপরোয়ার কারনে জীবন ও সম্মান রক্ষায় সহযোগিতা কামনা করেন পুলিশ ও প্রশাসনের নিকট।
কেকে/এআর