ঈদের ছুটিতে সিলেটের চা বাগানগুলোতে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। ঈদের তৃতীয় দিনেও ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়।
বুধবার (২ এপ্রিল) বিকাল থেকে উচু-নিচু টিলাবেষ্টিত চা বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় জমান প্রকৃতিপ্রেমীরা। সন্ধ্যা নামার আগেই প্রকৃতিপ্রেমীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় চা বাগান এলাকা।
সিলেটের লাক্কাতুড়া চা বাগান সিলেট নগরীর দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, সবুজে ঘেরা মনোরম পরিবেশ, উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথ, আর চায়ের সবুজ গালিচায় মোড়ানো এই বাগানে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। স্থানীয় পর্যটক ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রকৃতিপ্রেমিরা ভিড় জমান চা বাগান এলাকায়। সন্ধ্যা নামার আগেই হাজার হাজার পর্যটকের মিলনমেলায় পরিণত হয় পুরো চা বাগান এলাকা।
এ ছাড়াও নগরীর তারাপুর চা বাগানেও ভিড় করছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। দুপুর থেকেই পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়। বিকালের পর আনানগোনা আরো বাড়তে থাকে। কেউ পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন, কেউ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মেতেছেন। আবার অনেকেই ফটোসেশন ও ভিডিও ধারণে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন।
দর্শনার্থীরা জানান, ছুটি পেলে বা অবসর সময় পেলেই তারা এখানে ছিুটে আসেন। এখানকার আবহাওয়াটা অন্যরকম। তাছাড়া নিরাপদ একটি জায়গা। এর বাইরে সিলেট চায়ের রাজধানী খ্যাত হওয়ায় স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকরা এই চা বাগানে ছুটে আসেন। এবারের ঈদেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
কলেজ শিক্ষার্থী তাসনুভা বিনতে ফরিদ বলেন, এটা অনেক সুন্দর একটা জায়গা। পরিবারের সবাই এখানে এসেছেন। পুরো বিকেল প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কেটেছে।
চাকরিজীবি আবদাল আহমদও পরিবার নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছেন। তিনি জানান, সিলেট শহরতলীর কাছাকাছি দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে এই চা বাগানটি অন্যতম। সুযোগ পেলেই এখানে আসা হয়। বেশি দূরে যাওয়ার সমুযোগ হয় না। আজ স্ত্রী সন্তান সময় কাটাতে এখানে এসেছি।
এদিকে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তৎপর ছিল। এ ছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও খাবার ও নানান পণ্যের স্টল বসিয়েছেন, যা ঈদ আনন্দকে আরও রঙিন করে তুলেছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে ঘুরতে পারেন সে ব্যবস্থা আমরা করে রেখেছি। প্রতিটি পর্যটন স্পটে পোশাকধারী পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। পর্যটকদের নিরাপত্তায় পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে বলে তিনি জানান।
কেকে/এএম