চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের আন্দোলন ঘিরে উখিয়ায় পুলিশের লাঠিচার্জ ও আটক হওয়া ২৭ জন শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিকে মুচলেকা নিয়ে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টানটান পরিস্থিতির পর বিকালে আলোচনার মাধ্যমে এ সমাধান আসে।
সকাল ৯টার দিকে ফলিয়াপাড়া এলাকায় শিক্ষকরা চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ লাঠিচার্জ চালায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে ছাত্র প্রতিনিধি জিনিয়া শারমিন রিয়া ও দেলোয়ার হোসেন নওশাদসহ ২৭ জনকে আটক করা হয়।
আটক ও আহত শিক্ষকদের মুক্তির দাবিতে দুপুরে স্থানীয়রা উখিয়া থানা ঘেরাও করে। তারা ওসির পদত্যাগ ও শিক্ষকদের পুনর্বহালের দাবিতে স্লোগান দেন।
দুপুর ২টার দিকে বিএনপি, জামায়াত, গণ অধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা থানায় প্রবেশ করে বৈঠকে বসেন। আলোচনার পর বিকাল ৪টার দিকে আটক ২৭ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসা খরচ বহনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের আন্দোলনে আটক হওয়া শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিরা
ছাড়া পেয়ে ছাত্র প্রতিনিধি জিনিয়া শারমিন রিয়া বলেন, ‘আমাদেরকে বিনা অপরাধে মারধর করে আটক রাখা হয়েছিল। পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। আমরা পুলিশের লাঠিচার্জের বিচার চাই।’
এসময় রাজনৈতিক নেতাদের বৈঠকে পাঁচ দফা সিদ্ধান্ত হয়- ১) আটক শিক্ষকদের মুক্তি, ২) আহতদের চিকিৎসা, ৩) পুলিশের লাঠিচার্জ তদন্ত, ৪) চাকরি পুনর্বহাল আলোচনায় তোলা, ৫) আগামী ২৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার কক্সবাজার সফরে সমাধানের চেষ্টা।
এ ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফর রহমান কাজল বলেন, ‘পুলিশ চাইলে লাঠিচার্জ ছাড়া এ সমস্যার সমাধান করতে পারতো।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এলাকার আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে আন্দোলনরত নারী-পুরুষসহ ২৭ জনকে হেফাজতে নিয়েছি। আগামী ২৫ তারিখ প্রধান উপদেষ্টা আসবেন, এই পর্যন্ত তারা আন্দোলন করবে না এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে না। এমন শর্তে আমরা মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দিয়েছি। আমরা কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা কোনোভাবেই বরদাস্ত করব না।’