তাহাজ্জুদের শ্রেষ্ঠ সময়
খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
তাহাজ্জুদ নামাজ নফল ইবাদতগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠতম। এই নামাজ ঘুম ত্যাগ করে গভীর রাতে পড়তে হয় তাই এর প্রতিদানও বেশি। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় নবী (সা.) কে এই নামায পড়তে বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।
নবীজিকে সম্বোধন করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রাত্রির কিছু অংশ কোরআন পাঠ সহ জাগ্রত থাকুন। এটা আপনার জন্যে অতিরিক্ত। হয়ত বা আপনার পালনকর্তা আপনাকে প্রশংসিত স্থানে অধিষ্ঠিত করবেন (মাকামে মাহমুদে পৌঁছাবেন)।’ [সুরা-১৭ বনি ইসরাইল, আয়াত:৭৯]
তাহাজ্জুদ নামাজ নবীজি (সা.) নিয়মিত পড়তেন। তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত, অতিরিক্ত হিসেবে একে নফলও বলা হয়। এই নামাজ রাসুলুল্লাহ (সা.) এর জন্য অতিরিক্ত কর্তব্য ছিল। এর রাকাত সংখ্যা আট, বারো থেকে বিশ পর্যন্ত উল্লেখ পাওয়া যায়। চার রাকাত বা দুই রাকাত পড়লেও তা তাহাজ্জুদ হিসেবে পরিগণিত হবে। এই নামাজকে ‘সালাতুল লাইল’ বা ‘কিয়ামুল লাইল’ নামাজও বলা হয়।
তাহাজ্জুদ নামাযের আগে-পরে কুরআন তিলাওয়াত করা খুবই উত্তম।
মধ্যরাতের পরে বা রাতের দুই-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হলে তাহাজ্জুদ নামাজের সময় শুরু হয়। তখন থেকে ফজরের সময় হওয়ার কিছু সময় আগ পর্যন্ত তাহাজ্জুদের সর্বোত্তম সময়। রাত দুইটার পর থেকে ফজরের নামাজের সময় শুরুর আগ পর্যন্ত তাহাজ্জুদের সময় থাকে। ফজরের সময় শুরু হলে তাহাজ্জুদের সময় শেষ হয়ে যায়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) এর সময়ে তাহাজ্জুদ নামাযের জন্য আলাদা আজান দেওয়া হতো। এখনো মক্কা ও মদিনায় এই নিয়ম চালু আছে।
তাহাজ্জুদ নামাজ একা পড়াই উত্তম। তাই অন্য সব সুন্নত ও নফল নামাজের মতো তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা কেরাত নিম্ন স্বরে পড়তে হয় এবং এর জন্য একামাতেরও প্রয়োজন হয় না।
নফল ইবাদত বিশেষ উদ্দেশ্য বা প্রয়োজন ছাড়া গোপনে করাই বাঞ্ছনীয়। কারও ঘুমের ব্যাঘাত যেন না হয় এবং প্রচারের মানসিকতা যেন না থাকে এ বিষয়ে যত্নশীল ও সতর্ক থাকতে হবে। তাহাজ্জুদ নিয়মিত আদায় করতে পারলে তা অতি উত্তম। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন।