ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গরমে যা খাওয়া যাবে, যা খাওয়া যাবে না

অনলাইন ডেস্ক
🕐 ১২:১৮ অপরাহ্ণ, মে ০৩, ২০২৩

গরমে যা খাওয়া যাবে, যা খাওয়া যাবে না

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ। ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। কিন্তু তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে শরীরে অস্বস্তি, ক্লান্তির মত একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। তাই শরীর হাইড্রেটেড রাখতে আপনাকে খেতে হবে পানি ও পানিযুক্ত খাবার।

মৌসুমি ফল
মৌসুমি ফল শরীরের ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করে। সেই সঙ্গে দেহে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই এই সময়ে মৌসুমি ফল বেশি বেশি খেতে হবে।

কাঁচা আম খুবই ভালো পানিশূন্যতা দূর করার জন্য। কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এ ছাড়া ভিটামিন ‘সি’ ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তরমুজও শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এতে আছে ভিটামিন ‘ও’ খনিজ লবণ, যা এই গরমে শরীরের জন্য দরকার। বাঙ্গি একটি খুবই পুষ্টিকর একটি ফল, যা খুবই সহজলভ্য এবং দামেও তুলনামূলক সস্তা। শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গির তুলনা নেই।

আখের রস
আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে বিট লবণ, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বাড়ে, পুষ্টিগুণও বাড়ে।

বেলের শরবত
বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে- বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘বি’১ এবং ‘বি’২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার।

যা খাবেন না
অনেক কার্বনেটেড বেভারেজ আমরা গরমের সময় প্রচুর খেয়ে থাকি, যা ঠিক না। এই পানীয়গুলো শরীরকে সাময়িক চাঙা করলেও এর কোনো পুষ্টিগুণ নেই, বরং শরীরকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝাল, বাইরের খোলা শরবত, বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া এ সময় যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। পাতলা ঝোল ঝোল খাবার খাওয়া এ সময় সবচেয়ে ভালো।

 
Electronic Paper