ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কে ফের ভাঙন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ৯:৫৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ০১, ২০১৮

নদী ভাঙনের কবলে সুরমা তীরবর্তী সুনামগঞ্জের ছাতক ও দেয়ারাবাজার উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ। ভাঙন রোধে তেমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না সংশ্লিষ্টরা। এর মাঝে ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কে ভাঙনের তীব্রতা প্রতিদিনই বাড়ছে। এমনকি যানবাহন চলাচল বন্ধের শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও তারা আশ্বাসেই দিন পার করছেন। গতকাল রোববার সরেজমিন দেখা গেছে, ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কে ভয়াবহ ধস নেমেছে। গত তিনদিনে সড়কের বেশকিছু অংশ ধসে পড়েছে নদীগর্ভে। ভাঙন এলাকায় এখন নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়কে যে কোনো মুহূর্তে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন এলাকাবাসী। উপজেলা সদরের মাস্টারপাড়া এলাকার পাকারাস্তা দেড় থেকে দুইশ মিটার ধসে পড়েছে। সড়কে সব ধরনের যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
এলাকাবাসী জানান, সুরমা নদীর ভাঙনে এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনের অন্তত ৩০০মিটার পাকা সড়কসহ অর্ধশতাধিক দোকান-ঘর নদীগর্ভে বিলীনহয়ে গেছে। নতুন করে সড়কের বাউসা, লক্ষীবাউর, নৈনগাঁও এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। বর্তমানে এই সড়কে দিনের বেলা যাত্রীবাহী গাড়ি ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও রাতে সড়ক ফাঁকা থাকছে। দোয়াবাজারের ব্যবসায়ী সফিক বলেন, ১০ বছর ধরে সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনের তাণ্ডব চলছে। জনপ্রতিনিধিরা কী করছেন, এমন প্রশ্ন এখন এই অঞ্চলের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের। ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা সদরে একাধিকবার মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে। কিন্তু এর সুফল মিলছে না। দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী জানান, পরিষদের পক্ষ থেকে নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিককে জানানো হয়েছে। তিনি জাতীয় সংসদে ভাঙন নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু কার্যত কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। ছাতক সড়ক ও জনপথের (সওজ) উপসহকারী প্রকৌশলী রমজান আলী বলেন, নদী ভাঙন রোধে বড় প্রকল্প প্রয়োজন।

 
Electronic Paper