ইতিকাফের উপকারিতা
মাওলানা জাকির হোসেন
🕐 ১২:৫৯ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০১৯
রোজা ও ইতিকাফের নিয়তসহ মসজিদে অবস্থান করার নাম ইতিকাফ। অন্যদিকে মহিলারা মসজিদের পরিবর্তে ঘরে একটি জায়গা ঘেরাও দিয়ে আলাদা করে ইতিকাফ করবেন। ইতিকাফ রসুলের (সা.) সুন্নত। তবে গুরুত্ব অনুসারে ইতিকাফের তিনটি ভাগ। (১) ওয়াজিব ইতিকাফের মানত করা হলে তা পূর্ণ করা ওয়াজিব। (২) সুন্নাতে মোয়াক্কাদা রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করা সুন্নতে মোয়াক্কাদা।
তবে আমাদের ফকিহরা একে কেফায়া বলেছেন। অর্থাৎ মসজিদের আওতাধীন মহল্লার কোনো একজন ইতিকাফ করলে অপর লোকেরা গোনাহ থেকে বেঁচে যাবেন। কেউ ইতিকাফ না করলে সবাই গোনাহগার হবেন। (৩) মোস্তাহাব ওয়াজিব ও সুন্নত ইতিকাফ ছাড়া অন্য ইতিকাফ মোস্তাহাব এবং তা স্বল্প সময়ের জন্যও হতে পারে।
ইতিকাফের কিছু উপকারিতা নিচে দেওয়া হলো
ইতিকাফের মধ্য দিয়ে অন্য সব কিছু থেকে খালি হে য় মানুষ শুধু আল্লাহর ধ্যানেই মগ্ন থাকে। ২. ইতিকাফকারী মানুষের সংশ্রব থেকে দূরে থেকে শুধু আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের সুযোগ পায়। ৩. ইতিকাফ দ্বারা মানুষের নফসের কুপ্রবৃত্তি ও কু-ধারণা লোপ পায়। ৪. ইতিকাফ দ্বারা মানুষ দুনিয়ার সব কিছু থেকে মুখ ফিরিয়ে শুধু আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন হয় বলে সে সত্যিকার আল্লাহর সন্ধানী বলে প্রমাণিত হয়। ৫. ইতিকাফের মধ্যে আল্লাহর খাঁটি প্রেম, তার ওপর ভরসা ও স্বল্পে সন্তুষ্টির ভাব লাভ হয়। ৬. ইতিকাফের মধ্যে মানুষ সর্ব ধরনের গোনাহ থেকে বেঁচে থাকে। কেননা মানুষ মানুষের সংশ্রব দ্বারাই মিথ্যা, পরনিন্দা, গিবত ইত্যাদি গোনাহে লিপ্ত হয়। ৭. ইতিকাফের দ্বারাই মানুষ আল্লাহর খাস রহমত পাওয়ার যোগ্যতা লাভ করে।
যেমন হজরত মুসা (আ.)-কে ৪০ দিন ইতিকাফ করার পরই তাওরাত দান করা হয়েছিল। আমাদের নবী করিমও (সা.) হেরার মধ্যে ছয় মাস ইতিকাফ করার পর নবুওয়াত ও কোরআনে করিম প্রাপ্ত হয়েছেন।