ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পরাধীনতা ঘুচলেও ভূমি নিয়ে জটিলতা

ফুলবাড়ী উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
🕐 ৯:২৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৬, ২০১৯

দীর্ঘ ৬৮ বছরের অন্ধকার জীবন থেকে মুক্তি পেলেও জমির মালিকানা সংক্রান্ত খতিয়ান, মাঠ রেকর্ডের পর্চা, খারিজের কাগজ না পাওয়ায় জমির বন্টনসহ জরুরি প্রয়োজনে জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে পারছেন না কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দারা। ফলে প্রতিনিয়ত জমি সংক্রান্ত জটিলতায় পড়তে হচ্ছে তাদের। তবে গেজেট সম্পন্ন হলে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার আয়তন ৬৬৫ হেক্টর। এর মধ্যে মোট আবাদি জমির পরিমাণ ৫৬৬ হেক্টর। ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্য রাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মুজিব-ইন্দিরা স্থল সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন হওয়ায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরের ১১১টি ছিটমহল এবং ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল দুই দেশের ভূ-খণ্ডে যুক্ত হয়।

উভয় দেশের নাগরিক হওয়ার সুযোগ পান অবরুদ্ধ ছিটমহলের বাসিন্দারা। বিগত চার বছরে সরকারি-বেসরকারিভাবে দেশের অভ্যন্তরের ১১১টি বিলুপ্ত ছিটমহলে সংঘটিত হয় নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড। বিদ্যুৎ সংযোগ, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা স্থাপন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানসহ চোখে পড়ার মত উন্নয়ন হলেও জমির মালিকানার কাগজপত্র না পাওয়ায় তাদের জমির সংক্রান্ত মূল সমস্যা এখনও কাটেনি।

দাসিয়ারছড়ার বাসিন্দা আলতাফ হোসেন, নূর ইসলাম ও মমিনুল হক বলেন, গত চার বছরে বর্তমান সরকার যেভাবে দাসিয়ারছড়ায় উন্নয়ন করেছে তাতেই আমরা সরকারের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। কিন্তু দাসিয়ারছড়াবাসী জমি কেনা-বেচা করা থেকে এখনও বঞ্চিত। জমি কেনা-বেচা করতে না পারায় ছেলে-মেয়েদের বিয়ে, পড়াশোনার খরচ, বৃদ্ধ বাবা-মার চিকিৎসাসহ নানা সমস্যায় আছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাছুমা আরেফিন জানান, দাসিয়ারছড়ার কয়েকটি মৌজার আরএস খতিয়ান পাওয়া গেছে। যাদের খতিয়ান পাওয়া গেছে তারা জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন। বাকি মৌজাগুলোর কাগজ পেলে অধিবাসীদের জমি ক্রয়-বিক্রয়ের সমস্যা সমাধান হবে।

 

 
Electronic Paper