ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বসন্তের হাওয়ায় উঁকি দিচ্ছে আগুনরাঙা শিমুল ফুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:২১ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৪, ২০২১

বসন্তের হাওয়ায় উঁকি দিচ্ছে আগুনরাঙা শিমুল ফুল

ফাগুনের হাওয়ায় গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় রাঙিয়ে উঠেছে প্রকৃতি। নতুন মাত্রায় যোগ হয়েছে গ্রামবাংলার শোভা-সৌন্দর্য। এরই মধ্যে বসন্তের নীল আকাশের নিচে উঁকি দিচ্ছে আগুনরাঙা শিমুল ফুল। থোকা থোকা এ ফুলে হৃদয় ছুঁয়ে যাচ্ছে সবার। রক্তলাল শিমুলের রূপে মুগ্ধ গাইবান্ধার মানুষরা।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাদুল্লাপুরের বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলল বেশ কিছু শিমুল গাছের। যেন পাতাবিহীন ডালে উঁকি দিচ্ছে রক্তিম ফুল। এসময় দখিণা হওয়ায় বেশ কিছু ফুল ঝড়ে পড়তেও দেখা গেল মাটিতে। কেউ কেউ শখের বশে সেই ফুল কুড়িয়ে নিচ্ছিলেন।

জানা যায়, আজ থেকে প্রায় দেড় দশক আগে বসতবাড়ির উঠানে বা কৃষি জমির ধারে শিমুল গাছ ছিল অহরহ। এ গাছ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিত। মানুষ শিমুল তুলা কুড়িয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করতেন। অনেকে নিজের গাছের তুলা দিয়ে বানাতেন লেপ, তোষক, বালিশ। শিমুল তুলা বিক্রি করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন এমন নজিরও আছে। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় শিমুল গাছ এখন আর তেমন চোখে পড়ে না।

সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ মুন্না নামের এক পথচারী বলেন, গাইবান্ধা থেকে সুন্দরগঞ্জ আসার পথে মুগ্ধ হলাম ওইসব শিমুল ফুলে। অসাধারণ সৌন্দর্য সত্যিই চোখে পড়ার মতো। ভালো লাগার এক অদ্ভুত আবেগ ছড়িয়ে গেল মনে।

কলিম উদ্দিন ব্যাপারী নামের এক বৃদ্ধ বলেন, শিমুল গাছের ওষুধি গুণও রয়েছে। গ্রামাঞ্চলের মানুষ আগে বিষফোঁড়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে শিমুল গাছের মূল ব্যবহার করতেন। বর্তমানে নানা কারণে শিমুল গাছ হারিয়ে যেতে বসেছে।

গাইবান্ধা বন বিভাগ কর্মকর্তা আব্দুর সবুর মিয়া জানান, একসময় শিমুল তুলার কদর ছিল অনেকটাই। সেটি দখল করে নিয়েছে প্রযুক্তিতে তৈরি তুলা, ইউক্যালিপটাস ফাইবার, ফোম ও প্লাস্টিক ফাইবার।

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র তৈরিতে শিমুল কাঠ তেমন টেকসই হয় না। ফলে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে শিমুল গাছ।

 
Electronic Paper