ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পরামর্শ

যেভাবে ভালো করতে পার

এসএসসি পরীক্ষা-২০২০

সুধীর বরণ মাঝি
🕐 ২:৩০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০২০

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিও। তোমাদের পরীক্ষা দরজায় কড়া নাড়ছে। তোমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতিও তাই প্রায় শেষ পর্যায়ে। মনে রাখবে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি একজন পরীক্ষার্থীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনোভাবেই আর সময়কে অবহেলা করা যাবে না। ভালো ফলাফলের জন্য সব বিষয়কে সমান গুরুত্ব দিয়ে ভালো নম্বর পেতে হবে। শরীরের কোনো অঙ্গ যদি অসুস্থ হয় তাহলে আমরা নিজেরাই পুরো অসুস্থ হয়ে পড়ি, পরীক্ষার বেলাতেও ঠিক তেমনি কোনো এক বিষয় খারাপ করলে ফলাফলে তার প্রভাব পড়ে। তাই ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিটি বিষয়কে সমান গুরুত্ব দিতে হবে।

পরীক্ষা ভীতি দূর করে পরীক্ষা প্রীতি সঞ্চার করতে হবে। পরীক্ষা ভয়ের নয় আনন্দের। পরীক্ষা হলো নিজের প্রস্তুতি এবং নিজেকে যাচাই করার একটি পদ্ধতি মাত্র। মনে রাখতে হবে, ‘কঠিন অনুশীলন সহজ জয়।’ পরীক্ষা ভয়ের নয়, পরীক্ষা নিজেকে জয়ের। পরীক্ষা হলো আনন্দ ও উৎসবের আমেজ।

পরীক্ষা হলো নিজেকে যাচাই করার একটি পদ্ধতি মাত্র। নিয়মটি মানলে ভালো রেজাল্ট আসবেই। মনোযোগ+ নিয়মিত পড়া + নিয়মিত লেখা= ভালো ফলাফল। লক্ষ্য স্থির করে এখন থেকেই প্রস্তুতি এমনভাবে নিতে হবে যেন পরীক্ষার কাক্সিক্ষত ফলাফল লাভ করা যায়। নিয়মিত অনুশীলন এবং অধিক প্রস্তুতিতে সহজ এবং ভালো ফলাফল একটা ভালো রেজাল/ ফলাফল জীবনের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্য অর্জন করতে হলে ভালো রেজাল্টের বা ফলাফলের বিকল্প নেই। যদি সম্ভব হয় প্রতিদিন একটি করে বিষয় নির্ধারণ করে একটি নমুনা প্রশ্ন বা মডেল প্রশ্ন নিয়ে তিন ঘণ্টা সময় নিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। এতে হাতের লেখা সুন্দর ও দ্রুত হয় এবং পরীক্ষার প্রস্তুতিও ভালো হবে আর তার সঙ্গে পরীক্ষা ভীতিও দূর হয়ে যাবে। পরীক্ষার হলে তাড়াহুড়ো করার কোনো প্রয়োজন নেই। প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পর খুব মনোযোগ সহকারে একবার পড়ে নেবে। তারপর স্থির কর কোন উদ্দীপকের উত্তর তুমি ভালো লিখতে পারবে এবং সেখান থেকেই শুরু কর।

প্রশ্নে যতগুলো উত্তর লেখার কথা বলবে তোমাকে অবশ্যই ততগুলো প্রশ্নের সঠিক উত্তর লেখতে হবে। বিষয়ে অবশ্যই ৭টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। উত্তর পত্রে অবাঞ্ছিত কোনো কিছু লেখা যাবে না।

গ এবং ঘ-এর উত্তর লেখার সময় প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কোনো বিখ্যাত ব্যক্তি, দার্শনিকের উক্তি বা সাল ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়। গ এবং ঘ-এর উত্তর প্যারা আকারে লেখতে চেষ্টা করবে। সময়ের সঙ্গে মিল রেখে ৭টি উদ্দীপকের উত্তর লেখতে হবে। পরীক্ষার প্রস্তুতিকালে কমপক্ষে দুইবার মূল বইটি পড়তে হবে। বহুনির্বাচনী/ নৈর্ব্যক্তিকের ক্ষেত্রে অবশ্যই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।

খাতায় কাটা-ছেঁড়া যত কম করা যায় ততই ভালো। পরীক্ষার হলে কোনো প্রশ্ন জানার বাইরে এলে প্রশ্নটি এবং উদ্দীপকটি কয়েক বার মনোযোগ সহকারে পড়বে, তারপর একটু বুদ্ধি খাটালেই আশা করি উত্তরটি লিখতে পারবে।

শেষ মুহূর্তে বাংলা প্রথমপত্রের ক্ষেত্রে পাঠ পরিচিতি এবং পাঠ সংক্ষেপণ বা পাঠ সারাংশ ভালোভাবে দেখবে, তাহলে সৃজনশীল অংশের উত্তর লিখতে সহজ হবে। অনেকেই ইংরেজিকে খুব ভয় পায়। তাদের জন্য বলছি, ভয়ের কোনো কারণ নেই, ইংরেজির ক্ষেত্রে ৩০ নম্বরের উত্তর প্রশ্নের মধ্যেই থাকে। তাই প্রশ্ন পাওয়ার পরে প্রশ্নটি ভালোভাবে পড়তে হবে। ইংরেজির ক্ষেত্রে টেক্সড বুক এবং গ্রামার অংশ একটু বেশি মনোযোগী হয়ে পড়লে উত্তর লেখতে সহজ হয় এবং ফলাফলও ভালো হয়।

সৃজনশীল হওয়ার কারণে গণিতে নম্বর পাওয়া খুব সহজ। নির্দিষ্ট কিছু অধ্যায় একটু বেশি করে অনুশীলন করবে। বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বিষয়ে পাঠ্য বইয়ের অংশ কয়েক বার রিডিং পড়লে এবং পাঠ্য বইয়ের সৃজনশীল অংশ অনুশীলন করলে বহু নির্বাচনী / নৈর্ব্যক্তিক এবং সৃজনশীল অংশের সঠিক উত্তর দেওয়া যাবে। শিক্ষকের নির্দেশনা মেনে পড়ালেখা করতে হবে। পীরক্ষার ১৫-২০ দিন পূর্ব থেকে সাধ্যমতো পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। পরীক্ষার আগের দিন বেশিরাত জেগে পড়ার প্রয়োজন নেই।

বেশিরাত জেগে পড়লে এবং পরীক্ষার চিন্তার কারণে শরীর অসুস্থ হয়ে যেতে পারে, তাই রাত ১০ট থেকে ১০.৩০টার মধ্যে ঘুমিয়ে পরতে হবে এবং প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, পর্যাপ্ত কলম, পেন্সিল, রাবার, স্কেল গুছিয়ে রাখতে হবে, যাতে সকাল বেলা এগুলো নিয়ে চিন্তা করতে না হয়। পরীক্ষার দিন সকালবেলা বেশি পানি না খাওয়াই ভালো। সবার জন্য শুভকামনা রইল।

সুধীর বরণ মাঝি, শিক্ষক
হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয় চাঁদপুর।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper