ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

১০৭৮৯ রাজাকারের তালিকা প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:০৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯

একাত্তরে খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুণ্ঠনে যারা পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করেছিল, সেসব রাজাকারের তালিকার প্রথম পর্ব আজ রোববার প্রকাশ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী ১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছেন। সরকারি পরিবহন পুল ভবনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রোববার বেলা ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলন এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি তালিকাও প্রকাশ করেন তিনি।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, অন্যদের নামের তালিকা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। রাজাকারের এ তালিকা বিশেষ করে নাম-ঠিকানা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

একাত্তরে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দুই লাখ ১০ হাজারের বেশি নয় বলেও জানান তিনি।

আ ক ম মোজাম্মেল হক আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকার সময় অনেক রাজাকার-আলবদরের রেকর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আমরা নতুন করে কোনো তালিকা করিনি। পাকিস্তান সরকার কর্তৃক যারা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং যেসব পুরনো নথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত ছিল সেটুকু প্রকাশ করেছি। তৎকালীন বিভিন্ন জেলার রেকর্ড রুম থেকে এবং বিজি প্রেসে ছাপানো তালিকাও সংগ্রহের প্রচেষ্টা চলছে। যাচাই-বাচাই করে ধাপে-ধাপে আরও তালিকা প্রকাশ করা হবে।

তিনি বলেন, রাজাকারদের নাম-পরিচয় নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্যই তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে।

একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় থানা, মহকুমা, জেলা প্রশাসন থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলনকারী রাজাকারদের তালিকা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। গত ২৫ আগস্ট মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটিকে রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহের কাজ শুরুর কথা জানায়। এজন্য জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়।

পরে গত ২ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওইদিন বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘তালিকা হাতে আসা শুরু হয়েছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, ১৬ ডিসেম্বরের আগে থেকে যতটুকু আসবে পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে।’ একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।

ডিসিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, খাগড়াছড়ি, মাগুরা, শেরপুর, গাইবান্ধা ও যশোরের শার্শা উপজেলায় কোনো বেতনভোগী রাজাকার ছিল না। চাঁদপুরে ৯ জন, মেহেরপুরে ১৬৯, শরীয়তপুরে ৪৪, বাগেরহাটে একজন ও নড়াইলে ৫০ জন রাজাকার ছিল। তবে এসব রাজাকারদের নামের তালিকা সংসদীয় কমিটিতে দেওয়া হয়নি।

রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহের কাজ শুরু হওয়ার কথা গত ২৫ আগস্ট সংসদীয় কমিটির বৈঠকে জানায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। বৈঠকে জানানো হয়েছিল, রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তি কমিটির সদস্যদের তালিকা সংগ্রহ করে তা রক্ষণাবেক্ষণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আধাসরকারি (ডিও) চিঠি পাঠানো হচ্ছে।

 

 
Electronic Paper