ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
🕐 ৯:৪৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০১৯

গাইবান্ধায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ। এর জন্য অভাব অনটন, মাদকে আসক্তি, পরকীয়া, শারীরিক অক্ষমতা এবং যৌতুকের জন্য নির্যাতনকেই দুষছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যে এ প্রবণতা সবচাইতে বেশী। এছাড়া ফেসবুকে অনেকে পরকীয়ায় আসক্তি হয়ে ভাঙছে সংসার। নিম্নবিত্ত পরিবারের যারা ঢাকায় রিকশা-ভ্যান চালান, গার্মেন্ট বা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত তারাই বেশি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছে। এ কারণে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এছাড়াও সাংসারিক জীবনযাত্রা ব্যয়বহুল হওয়ায় দরিদ্র এবং নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো আয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করতে পারছে না। ফলে লাগাতার দাম্পত্য কলহ থেকেও বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া মদ, জুয়ায় আসক্তি ও পুরুষ-নারীর শারীরিক অক্ষমতার কারণেও কোনো কোন ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটছে।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার কাজী সাইফুল ইসলাম জানান, সাধারণত গাইবান্ধার বাইরে যারা চাকরি করতে যান, গার্মেন্টস, রাজমিস্ত্রী, রিকশাচালকরাই বিবাহ বিচ্ছেদে এগিয়ে রয়েছেন।

দক্ষিণ ধানঘড়ার নিকাহ রেজিস্টার কাজী মোহাম্মদ আলীর সহকারী ও খোলাহাটি ইউনিয়নের কিশামত বালুয়া গ্রামের কাজী মিলন মিয়া জানান, বর্তমানে পরকীয়ার কারণে অনেক বিয়ে বেশি দিন টিকছে না। পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ তালাক রেজিস্টার কাজী মো. আব্দুল গফফার আকন্দ জানান, উচ্চবিত্ত পরিবারগুলোর মধ্যে এবং শহর এলাকায় তালাকের প্রবণতা অপেক্ষাকৃত কম। তবে গ্রামাঞ্চলে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত এবং দরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যে ইদানিং তালাকের পরিমাণ বহুলাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গাইবান্ধা প্রধান ডাকঘরের সহকারী পরিদর্শক মো. মোসলেম উদ্দিন জানান, প্রধান ডাকঘরের আওতায় বিভিন্ন এলাকা থেকে চিঠি আসা এবং বিভিন্ন এলাকায় প্রেরণ করা চিঠির সংখ্যা আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও এখনও প্রতিদিন যথেষ্ট চিঠি আসে।

সাধারণত ব্যক্তিগত চিঠি এখন আর আসে না। কেননা মোবাইলে যোগাযোগ, চিঠির চাইতে অনেক দ্রুত করা যায়। তবে ইদানিং তালাকে নোটিশ বেশি আসছে। প্রতিদিন গড়ে ডাকঘরে ২০ থেকে ২৫টি বিবাহ বিচ্ছেদের চিঠি আসে। অন্যান্য উপজেলা ডাকঘর ও সাব-ডাকঘর মিলে বিবাহ বিচ্ছেদের চিঠির পরিমাণ গড়ে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫টি হবে। শহর এলাকার বিট পিয়ন মশিউর রহমান ম-ল জানান, তার বিটে গড়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫টি বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাকের নোটিশ আসে। এগুলো মেয়েদের পক্ষ থেকেই বেশি আসছে।

 
Electronic Paper