ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আপিল শুনানি এ বছরই’

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৬:০৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০১৯

২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলায় পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা সম্ভব। আমরা সাজাপ্রাপ্ত সব আসামিদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছি এবং তা চালিয়ে যাচ্ছি। একই সঙ্গে ২ থেকে ৪ মাসের মধ্যে মামলার পেপারবুক তৈরি হবে ও এ বছরের মধ্যে শুনানি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনাতে কিছুটা জটিলতা ছিল আজও আছে, সেটা সমাধানের চেষ্টা করছি। আমরা আশা করি, এই রায় কার্যকর করার জন্য তাদের ফিরিয়ে আনা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে।

রায়ের ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও হাইকোর্ট বিভাগে শুনানি হচ্ছে না কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বেশি সময় নয়। আমরা বলতে পারি- আগামী ২ থেকে ৪ মাসের মধ্যে মামলাটির পেপারবুক তৈরি হয়ে যাবে, তখন শুনানি হবে। আর সেটা এ বছরের মধ্যেই।

তিনি আরও বলেন, আজকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দিন। এই দিনে আইভি রহমানসহ ২২ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নিহত হন। সব মিলিয়ে মারা যান ২৪ জন। আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

মামলার রায় পরবর্তী কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচাররিক আদালত যদি কাউকে ফাঁসি দেন তাহলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭০ ধারা অনুযায়ী সেই মামলা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্ট ডিভিশনে চলে যায়।

‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলার রায়ে কয়েকজন আসামির ফাঁসি হয়েছে, কারও কারও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। ফাঁসি হওয়ার কারণে তা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে চলে গেছে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, যারা যাবৎজীবন কারাদন্ড পেয়েছেন তারাও হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করছেন। হাইকোর্ট বিভাগের নিয়ম হচ্ছে, ডেথ রেফারেন্স ও যাবজ্জীবন সাজাটাকে একসঙ্গে ট্যাগ করে তারা শুনানি করেন। সেক্ষেত্রে কিছু ফরমালিটিজ আছে সেগুলো কম্পলিট করতে হয়।

‘যেমন যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদের পেপারবুক সরকারের তৈরি করে দিতে হয় বিজি প্রেসের মাধ্যমে। এই পেপারবুকের মধ্যে মামলার যাবতীয় কাগজপত্র থাকে। এটা তৈরি করে মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হয় এবং তারপর শুনানি হয়।’

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা প্রসিকিউশন থেকে দেখবো এই পেপারবুক তৈরির কাজটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব-এটা যেন হয়। এই মামলার ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৬১জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আরো ১৬৪ জনের সাক্ষী হয়।

‘সর্বমোট ২২৫ জনের সাক্ষী হয়। ফলে এই মামলার পেপারবুক অনেক বড় হবে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত পেপারবুক তৈরি করে কার্যতালিকাভুক্ত করে মামলাটির শুনানি শুরু করবো,’ যোগ করেন তিনি।

 
Electronic Paper