স্ত্রীকে এমপি করায় দলেও সমালোচিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:০২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০১৯
একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হিসেবে রাশেদ খান মেননের স্ত্রী লুৎফুন্নেসা খান বিউটিকে মনোনয়ন দেওয়ায় দলে অসন্তোষ দেখা দেয়। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা ছিল, বিগত দশম সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) দলের পলিটব্যুরোর সদস্য হাজেরা সুলতানা, কেন্দ্রীয় নেত্রী সালেহা সুলতানা, অ্যাডভোকেট জুবাইদা পারভীন, বীনা রানী সরকার, ইন্দ্রানী সেন শম্পা ও আফরোজা খাতুনের মতো কোনো একজনকে এমপি নির্বাচিত করতে।
কিন্তু সবার সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করে মেনন নিজের স্ত্রীকে সংসদ সদস্য করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে সংরক্ষিত ৫০ আসনের একটি আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির ব্যানারে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তার স্ত্রী বিউটি। এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সংস্কৃতিতে গত দুই দশকে একাধিকবার ভাঙন মোকাবেলা করতে হয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টিকে। এমপি-কাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে আরও কেউ কেউ পদত্যাগ করবেন শিগগিরই।
দলীয় কোনো ফোরামে না থেকেও শুধু সভাপতির স্ত্রী হওয়ার কারণে লুৎফুন্নেসা খান বিউটির সংসদ সদস্য হওয়া মেনে নিতে পারেননি দলের নেত্রীরা। তারা জানান, দলীয় ফোরামে অনুমোদন ছাড়াই স্ত্রীকে দলের সংসদ সদস্য করেছেন মেনন, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। এই সিদ্ধান্তে দলীয় নেতাদের মধ্যে দেখা দেয় তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ।
ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সালেহা সুলতানা সে সময়ে জানান, স্ত্রীকে এমপি বানিয়ে তাদের সঙ্গে অন্যায় করছেন দলীয় সভাপতি। দলের মনোনয়ন কাকে দেওয়া হবে তা পলিটব্যুরো, কেন্দ্রীয় কমিটি ঠিক করবে। কিন্তু তা না করে সভাপতি মর্জিমতো করেছেন।
শুধু এটিই নয়, অতীতেও মেননের স্বেচ্ছাচারী কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন নেতাকর্মীরা।