ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

‘উপজেলা নির্বাচন আগের দিন রাতেই অনুষ্ঠিত হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৫:৫৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯

উপজেলা নির্বাচন আগের দিন রাতেই অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ছিল, উপজেলা নির্বাচনও একইভাবে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে।’- সিইসির এই বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, যে সিইসি ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর এমন কথা বলেন তাহলে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে উপজেলা নির্বাচনের ভবিষ্যৎ। এই নির্বাচনও যে আগের দিন রাতেই অনুষ্ঠিত হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সব নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে, ভোটাধিকার কবরস্থ করে সিইসি নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা ধ্বংসের পরও আত্মপীড়ণবোধ না করে অবলীলায় ৩০ ডিসেম্বর মহাভোট ডাকাতিরই নির্বাচনের পুনরাবৃত্তির ঘোষণা দিলেন উপজেলা নির্বাচনে। কারণ এই সিইসি সরকারকে ভোটারহীনভাবে বিজয়ী করতে সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচন চান না। আপনারা সবাই লক্ষ করেছেন-ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ। কোথাও কোনো সাড়া-শব্দ নেই, মানুষ নীরব ও উৎসাহহীন। সিইসি গণতন্ত্রের কবর দিয়েছেন ২৯ ডিসেম্বরের রাতেই। তাই আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি, লজ্জা শরমের ধার ধারছেন না তিনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সঠিক হেদায়েত ও শুভবুদ্ধি থেকে বঞ্চিত একজন ব্যক্তি।

আজ রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ‘দেশে মিড নাইট’ নির্বাচনের প্রধান কারিগর বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, এই সিইসি ভোটারদের প্রতারিত করে অভিনব মিড নাইট নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ববাদী একদলীয় রাষ্ট্র কায়েমে সহায়তা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন-উপজেলা নির্বাচনসহ নির্বাচনগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ না করা হতাশাজনক। সাংবাদিক বন্ধুরা, এ দেশে মিড নাইট নির্বাচনের প্রধান কারিগর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। তিনি মিড নাইট নির্বাচনের যে নজির সৃষ্টি করেছেন, তারপরও অন্যান্য রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ করবে তা তিনি কী করে আশা করতে পারেন ! সিইসি পরিচালিত নির্বাচনে একমাত্র শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিষদই উল্লসিত হয়েছেন, দেশ-বিদেশের সবাই ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে শুধু হতবাকই হয়নি, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে তারা ওই নির্বাচনের বিরুদ্ধে সমালোচনা ঝড় তুলেছে। এই সিইসি ভোটারদের প্রতারিত করে অভিনব মিড নাইট নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ববাদী একদলীয় রাষ্ট্র কায়েমে সহায়তা করেছেন।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির দেশব্যাপী সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আগামী উপজেলা নির্বাচনে দলের কোনো নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। যদি কেউ দলের সিদ্ধান্ত বরখেলাপ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

 

 
Electronic Paper