দেশে দেশে সর্বনাশা মহামারি
ইবোলা
বিবিধ ডেস্ক
🕐 ১:৪৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০১৯
রোগটির জন্মস্থান সুদান ও ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো। প্রথম মহামারীর আকার ধারণ করে মূলত উপ-সাহারান আফ্রিকার ক্রান্তীয় অঞ্চলে। ১৯৭৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ১০০০ মানুষ প্রতি বছর ইবোলায় আক্রান্ত হতেন। ১৯৭৬ সালে প্রথম মহামারীর আকারে দেখা দিয়েছিল ইবোলা নদী তীরবর্তী ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে (জায়ারে), সেখান থেকেই ‘ইবোলা’ নামকরণ। ২০১৩-২০১৫ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় এই রোগ মহামারী সৃষ্টি করে। যাতে প্রায় ২৮,৬১৬ জন আক্রান্ত হয়েছিল এবং ১১,৩১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
১৯৭৬ সালে আবিষ্কারের পর থেকে প্রায় নিয়মিতই ইবোলার ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে মানুষকে। আর এর সিংহ ভাগ ঝড় বয়ে যায় আফ্রিকা মহাদেশের ওপর দিয়ে। ১৯৯৪ ও ’৯৬ সালে গ্যাবনে জোড়া আঘাত হানে ইবোলা; আক্রান্ত মানুষের অর্ধেকের বেশিই মারা যায় এর প্রকোপে। ১৯৯৫ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে শতকরা ৮১ ভাগ ইবোলা আক্রান্ত রোগী চলে যায় না ফেরার দেশে।
২০০৩ সালে কঙ্গোতে দুবার হানা দেয় ইবোলা; মেরে ফেলে ৮০ শতাংশেরও বেশি আক্রান্ত মানুষকে। ২০১৪ সালে ইবোলা তার আন্তঃমহাদেশীয় যাত্রা শুরু করে। সে বছর ইবোলা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় যুক্তরাষ্ট্র (আক্রান্ত চারজনের মধ্যে একজন মারাও যায়), যুক্তরাজ্য ও স্পেনে। ২০১৫ সালে ইতালিতেও নিজের উপস্থিতি জানান দেয় ইবোলা। এখন পর্যন্ত এশিয়াতে ইবোলার প্রকোপ ধরা পড়েনি। তবে বাংলাদেশি এক প্রজাতির বাঁদুড়ে জায়ারে ও রেস্টন ইবোলা ভাইরাসের বিপরীতে এক ধরনের অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। এ থেকে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এশিয়াতেও ইবোলা ভাইরাসের বাহক বাঁদুড় থাকতে পারে।