ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গাজীপুরের খাসজমিগুলোতে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন

সাঈদ চৌধুরী
🕐 ৯:৪৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০১৮

কেউ কী জানেন খাস জমির পরিমাণ কত গাজীপুরে? গাজীপুরের অনেকাংশই ভাওয়াল ও মধুপুরের গড় এবং তা বনাঞ্চল থাকার কথা। কিন্তু এই বনাঞ্চলের অনেকাংশেই বনের লেশ মাত্র নেই। মাঝে মাঝে গড়ে উঠেছে ভারী শিল্প কারখানাও। পিকনিক স্পট, বিলাশবহুল অবকাশ কেন্দ্রতো আছেই। যদি বনাঞ্চলের জায়গা অধিক পরিমাণেই থাকে তবে এই প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে উঠছে কীভাবে?

খাস জমিও বিক্রি হয়, কন্ট্রাক্ট হয় আবার দখলও হয়। খাস জমি দিয়েই ব্যবসা করছে এমন মানুষও রয়েছে। যেখানে বনাঞ্চলের বিলুপ্তি হয়েছে সে জায়গাটাও কিন্তু সরকারের। এই জায়গাগুলোর চিহ্নিতকরণ প্রয়োজন। বিভিন্নভাবে  সরকারের জমিগুলো যেভাবে অপব্যবহার হচ্ছে তাতে করে বনাঞ্চল নষ্ট হচ্ছেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রকৃতিক ভারসাম্যও! যে বানর গাজীপুরের সর্বত্র দেখা যেতো  এখন তা নেই বললেই চলে, মাছের প্রাকৃতিক আবাসস্থল কমে গিয়ে প্রায় শূন্যের কোটায় এবং পাখ-পাখালিরও বিচরণ কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে।
কিছু অসাধু নেতৃস্থানীয় মানুষগুলো টাকা নিয়ে খাস জমি বিক্রি করছে সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের কাছে এবং কখনো কখনো শিল্প নির্মাণের জন্য। সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের কাছে খাস জমি পঞ্চাশ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা কাঠায় বিক্রি করা হচ্ছে বলে অনেক সময় খবর পাওয়া যায়।  
সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে এই জমিগুলো সরকারই থাকার জন্য দিতে পারে, অবকাশ কেন্দ্র নির্মাণে সরকার যদি বনগুলোর পাশে নির্দিষ্ট জায়গা ভাড়া দেয় বা লিজ দেয় তবেও পর্যটনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা হতে পারে। যদি সরকার এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয় তবে বন সংরক্ষণ বাড়বে, সঠিক মানুষ জমিগুলো পাবে এবং বাঁচবে সরকারি জায়গাগুলোও। তাই গাজীপুরের খাস জমিগুলোর ওপর সরকারের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে অনেক লেখাও হয়েছে। আশা করি সরকার সঠিক পদক্ষেপ নেবে এবং বন সংরক্ষণ ও খাস জমি সংরক্ষণে বড় ভূমিকা রাখবে।


শ্রীপুর, গাজীপুর।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper