ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ওয়ার্ল্ড ভিশনের গবেষণা

পরিবারের আয় কমে যাওয়ায় ৮৭ ভাগ শিশু উদ্বিগ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ০৯, ২০২০

প্রাণঘাতি নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে পরিবারের আয় কমে যাওয়ার ফলে পিতামাতা ও অভিভাবকদের চাপ তৈরি হওয়ায় শিশুরা ক্রমাগত নিঃসঙ্গতা অনুভব করছে। আন্তর্জাতিক শিশু কেন্দ্রিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

‘আউট অফ টাইমস’ শিরোনামে গতকাল বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে শিশুর ক্ষুধা, সহিংসতা এবং দারিদ্র বৃদ্ধির যে বৈশি^ক আশঙ্কা করা হয়েছিল তা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। যার কারণে এশিয়া অঞ্চলে ৮.৫ কোটি পরিবারের সঞ্চিত খাবার অপ্রতুল বা নেই বললেই চলে এবং ১১ কোটি শিশু ক্ষুধার্ত থেকে যাচ্ছে। উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বলছে, পিতামাতার পর্যাপ্ত খাবার কেনার সামর্থ্যের অভাবে এশিয়া অঞ্চলের ৮০ লাখ শিশু ভিক্ষা বৃত্তি, শিশু শ্রম এবং বাল্য বিবাহের ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালিন ন্যাশনাল ডিরেক্টর চন্দন গোমেজ বলেন, সম্প্রতি পরিচালিত একটি র‌্যাপিড অ্যাসেসমেন্টে দেখা গেছে বাংলাদেশে ৮৭ ভাগ শিশু মানসিক চাপে আছে এবং লকডাউনের প্রভাবে পরিবারের আয় কমে যাওয়ায় আরও ৮৭ ভাগ শিশু উদ্বিগ্ন। শিশু, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। কেননা এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়ার কৌশল হিসেবে তাদের চাহিদার চেয়ে কম খাবার গ্রহণ করতে হচ্ছে।

ওয়ার্ল্ড ভিশনের গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট বিষয়ক পার্টনারশিপ লিডার রবাট শু বলেন, লাতিন আমেরিকা, সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং এশিয়ায় এই র‌্যাপিড অ্যাসেসমেন্ট পরিচালনা করা হয়। যার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে এই মহামারিতে সংকটের শীর্ষে এখন শিশুরা। প্রতিটা অ্যাসেসমেন্ট থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে উপার্জন ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, খাদ্য ক্রয়ের সামর্থ্যের অভাবে পরিবারগুলোর পরিবর্তিত পরিস্থিতে খাপ খাইয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে। যা শিশুদের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এটাই স্বাভাবিক যে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলো সবচেয়ে ক্ষতির শিকার হয়, বিশেষ করে নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে থাকা দেশগুলো যারা সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন, অস্থিরতা বাস্তুচ্যুতি এবং মানবিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল।

কমিউনিটি পর্যায়ে এশিয়ার ১৪ হাজার পরিবার, আফ্রিকার ২,৪০০ এর অধিক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার এবং ভেনিজুয়েলার ৩৬০ জন শরণার্থীর কাছ থেকে ওয়ার্ল্ড ভিশনের প্রাপ্ত তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে মহামারীর প্রভাব নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যে আশঙ্কা করেছিল তা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।

 

 
Electronic Paper